পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীন সমবায় অধিদপ্তরের দশম গ্রেডের ‘ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর কাম প্রটোকল অফিসার (একাডেমি)’ পদের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি, আসনব্যবস্থা ও নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারি কর্ম কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর কাম প্রটোকল অফিসার পদের লিখিত পরীক্ষা ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ৭১ মিলনায়তন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, শেরেবাংলা ঢাকায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুনদেশে–বিদেশে পড়াশোনা শেষে ইন্টেলে চাকরি পেলেন হাসান উল বান্না, বেতন বছরে দুই কোটি৮ ঘণ্টা আগে

লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনিত প্রার্থীদের নতুন করে কোনো প্রবেশপত্র পাঠানো হবে না। অনলাইনে প্রাপ্ত প্রবেশপত্র নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় উপস্থিত হতে হবে। প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে/নষ্ট হলে কমিশনের ওয়েবসাইট অথবা টেলিটক বাংলাদেশের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে সংগ্রহ করতে হবে।

প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পর কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন৪৮ জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, এইচএসসি পাস ১৮-৩৫ বয়সীর সুযোগ, ভাতা দৈনিক ২০০৫ ঘণ্টা আগে

উত্তরপত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বর সঠিকভাবে না লিখলে এবং সঠিকভাবে বৃত্ত পূরণ না করলে অথবা কোনোরূপ কাটাকাটি করলে বা উত্তরপত্রে ফ্লুইড ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।

হাজিরা তালিকায় প্রত্যেক প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং নামের পাশে তার ছবি ও প্রবেশপত্রের অনুরূপ স্বাক্ষর মুদ্রিত থাকবে। প্রবেশপত্রের ছবি ও স্বাক্ষরের সঙ্গে হাজিরা তালিকার ছবি ও স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখা হবে, মিল না থাকলে উক্ত প্রার্থীকে বহিষ্কার এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি দেখা যাবে এই লিংকে।

আরও পড়ুনচিকিৎসক নিয়োগে বিশেষ বিসিএস নিতে চায় পিএসসি৭ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল খ ত পর ক ষ পর ক ষ র প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির। 

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”

আরো পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।

ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।

বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।

সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।

তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ