পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী ১৪ মার্চ থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে, যা চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। এ সময় যাত্রীরা ২৪ থেকে ৩০ মার্চের মধ্যে যাত্রার জন্য ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানায়, ১৪ থেকে ২৪ মার্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে এবং এদিন থেকে শুরু হতে পারে ট্রেনে ঈদযাত্রা। এ ছাড়া, ঈদযাত্রার জন্য বিশেষ ট্রেন চালানো হবে, তবে কতগুলো বিশেষ ট্রেন চলবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যাত্রীদের চাহিদার ভিত্তিতে রুট চূড়ান্ত করা হবে।

এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদযাত্রার জন্য অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩৬টি অতিরিক্ত কোচ ট্রেনে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে কিছু মিটারগেজ ও ব্রডগেজ কোচ পাহাড়তলী ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে আনা হবে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক মো.

আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, ঈদযাত্রার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবং ৯ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ে এক পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে আরো বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।

নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা
  • ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন