নারী দিবস উপলক্ষে প্রবীণ নারী-পুরুষের মধ্যে উপহারসামগ্রী বিতরণ
Published: 6th, March 2025 GMT
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে দেড় শতাধিক প্রবীণ নারী-পুরুষের মধ্যে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছে তিনটি সংগঠন। এই প্রবীণেরা একসময় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কল্যাণপুর পোড়া বস্তির কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টারে তাঁদের হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। যৌথভাবে এ আয়োজন করে জনউদ্যোগ, এজিং সাপোর্ট ফোরাম ও ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইইডি)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। তিনি বলেন, জীবনের একটা পর্যায়ে প্রবীণ নারীরা সমাজে অবহেলিত থাকেন। প্রবীণদের নিয়ে কেউ কাজ করতে চায় না। বিশেষ করে প্রবীণ নারীদের পাশে কেউ থাকতে চায় না। এমন উদ্যোগ অনুপ্রাণিত করবে।
এজিং সাপোর্ট ফোরামের সভাপতি হাসান আলী বলেন, ‘এই ফোরাম দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবীণদের সহযোগিতা করে আসছে। নারী দিবস সামনে রেখে আমরাই প্রবীণদের কাছে গিয়েছি। তাদের হাতে শাড়ি, লুঙ্গি ও বিছানার চাদর তুলে দিয়ে এই বার্তা দিতে চেষ্টা করেছি যে সমাজের প্রান্তিক প্রবীণদেরও মনে রাখার প্রয়োজন আছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনউদ্যোগের আহ্বায়ক মুশতাক হোসেন, আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মদ খান, জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, সমন্বয়কারী সঞ্চিতা তালুকদার, মেজর (অব.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রব ণ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক