বিশ্বের দ্রুততম ট্রেনের ‘টাইপ টেস্ট’ চলছে
Published: 7th, March 2025 GMT
চীনের তৈরি বিশ্বের দ্রুততম ট্রেন সিআর৪৫০ বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে টাইপ টেস্ট পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। ট্রেনটির পরীক্ষামূলক গতি ঘণ্টায় ৪৫০ কিলোমিটার এবং বাণিজ্যিক গতি ৪০০ কিলোমিটার, যা এর আগের সিআর৪০০ ফুসিং ট্রেনের চেয়ে ১০০ কিলোমিটার বেশি।
ট্রেনটির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি কর্পোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর৪৫০ হাই-স্পিড ট্রেন প্রযুক্তি, নিরাপত্তা ও পরিচালনা ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বেশি গতির জন্য ট্রেনের ট্র্যাকশন ক্যাপাসিটি, ডায়নামিক পারফরম্যান্স ও প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম উন্নত করা হয়েছে। এতে ওয়াটার-কুলড পার্মানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীল বগি ও এআই-সমৃদ্ধ মাল্টি-সিস্টেম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
এ ট্রেনে আছে ৪ হাজারেরও বেশি সেন্সর, যা ট্রেনের গতিবিধি, কার বডি, ট্র্যাকশন, ব্রেকিং ও অগ্নি শনাক্তকরণ ব্যবস্থা রিয়েল টাইমে পর্যবেক্ষণ করে।
হালকা উপকরণ ব্যবহারের ফলে ট্রেনের ওজন ১০ শতাংশ কমেছে এবং চলাচলের সময় বাতাসের প্রতিরোধ কমেছে ২২ শতাংশ। শব্দ কমাতে এতে বিশেষ উপকরণ ও অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে, যা কেবিনের শব্দ ২ ডেসিবেল কমিয়ে দেবে।
সূত্র: সিএমজি
ঢাকা/হাসান/এনএইচ/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?