আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ্ আল মিলনসহ দুই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন।

এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তারা বিয়ে করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পৌরসভার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে পৌঁছালে আসামিরা তাদের গতিরোধ স্টেশনের ভেতরে নিয়ে যায়। তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমিকের মধ্যে বিরোধ বাধিয়ে দেয়। প্রেমিক ছেলেটি বিয়ে করতে অস্বীকার করলে আসামিরা তার কাছ থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ওই টাকা তরুণীকে দেওয়ার কথা বলে ৪টি ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তী সময়ে সেই টাকা না দিয়ে তরুণীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তরুণী টাকা আনতে গেলে মিলন তাকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তরুণী চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাকে রক্ষা করে। 

অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল্লাহ্ আল মিলন বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।’ 

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসাইন অনু বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। মিলন দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ছাত্রদল নেতাসহ দুই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আলফ ড ঙ গ ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

ভারতের আসামে গত বছর একাধিক ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে উলফা (আই) নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। সংস্থাটি শনিবার গুয়াহাটির আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

পরেশ বড়ুয়া নিষিদ্ধঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (ইনডিপেনডেন্ট ) চেয়ারম্যান এবং স্বঘোষিত কমান্ডার ইন চিফ। চার্জশিটভুক্ত অন্য দুজন হলেন অভিজিৎ গগৈ ও জাহ্নু বড়ুয়া।

গত বছর আসামে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন ব্যাহত করতে গুয়াহাটির দিসপুর লাস্ট গেটে একাধিক আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে এই তিনজনের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা তদন্তের ভার নেয় এনআইএ।

এনআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহত করা, সম্পত্তি ধ্বংস করা, ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি তৈরি এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আইইডি স্থাপন করা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
  • ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের কফিনে শেষ পেরেক: প্রেস সচিব