কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে গত ১৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে গণভবনের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক অধ্যাপক। ওই ঘটনায় তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করলে দেড় মাসেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, ঘটনার দিন রাত ১০টায় টেকনিক্যাল মোড়ে নেমে ঢাবি ক্যাম্পাসে যাওয়ার উদ্দেশে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করেন তিনি। গণভবনের সামনে পৌঁছামাত্রই থেমে যায় অটোরিকশাটি। চালক জানান, ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। তিনি সচল করার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে হঠাৎ তিন ব্যক্তি তাঁর গলায় চাকু ধরে বলে, চিৎকার করলে গলা নামিয়ে দেব। এর পর তাঁর মুঠোফোন ও ব্যাগ কেড়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।

তিনি আরও জানান, এ সময় তাঁকে জিম্মি করে ২ লাখ টাকা দাবি করে ছিনতাইকারীরা। পরে এক আত্মীয়ের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৪৫ হাজার টাকা এনে দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, মামলায় ছিনতাইকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বর উল্লেখ করেছিলাম। কেন পুলিশ ছিনতাইকারীদের ধরতে পারছে না, সেটি বোধগম্য নয়।

এ বিষয়ে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম আযম বলেন, স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্যারকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডন বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে: মঈন খান

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এরআগে সকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে আবদুল মঈন খান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, আজকের বাংলাদেশের যে সার্বিক পরিস্থিতি; বিশেষ করে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে- তার প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের জিওপলিটিক্যাল অবস্থান ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক- এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃটিশ হচ্ছে গণতন্ত্রের সূতিকাগার। ওরা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাইবে না তো, কে চাইবে? এখানে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না।

নির্বাচন নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আপনারা তো জানেন, আমাদের কথা এখন একটাই। বাংলাদেশের মানুষের যে ইচ্ছার প্রতিফলন, দেশের নতুন প্রজন্ম, যারা দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের ভোট দিতে পারেনি। দেশের কোটি কোটি মানুষ, ১২ কোটি ভোটার বলা হচ্ছে- তারা ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ। ভোটের ব্যাপারে যখন নিশ্চিত ইঙ্গিত সরকারের পক্ষ থেকে আসে, বলা হয় যে- নির্বাচন কমিশন দেশবাসীকে জানাবে ভোটের তারিখ। তখন তো দেশের মানুষ উচ্ছ্বাস হয়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ