ছিনতাইকারীর কবলে ঢাবি শিক্ষক, আটক নেই দেড় মাসেও
Published: 7th, March 2025 GMT
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে গত ১৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে গণভবনের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক অধ্যাপক। ওই ঘটনায় তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করলে দেড় মাসেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, ঘটনার দিন রাত ১০টায় টেকনিক্যাল মোড়ে নেমে ঢাবি ক্যাম্পাসে যাওয়ার উদ্দেশে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করেন তিনি। গণভবনের সামনে পৌঁছামাত্রই থেমে যায় অটোরিকশাটি। চালক জানান, ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। তিনি সচল করার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে হঠাৎ তিন ব্যক্তি তাঁর গলায় চাকু ধরে বলে, চিৎকার করলে গলা নামিয়ে দেব। এর পর তাঁর মুঠোফোন ও ব্যাগ কেড়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।
তিনি আরও জানান, এ সময় তাঁকে জিম্মি করে ২ লাখ টাকা দাবি করে ছিনতাইকারীরা। পরে এক আত্মীয়ের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৪৫ হাজার টাকা এনে দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, মামলায় ছিনতাইকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বর উল্লেখ করেছিলাম। কেন পুলিশ ছিনতাইকারীদের ধরতে পারছে না, সেটি বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম আযম বলেন, স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্যারকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি: আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ১/১১ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলেও নানাভাবে এই সরকারকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি। তবে সুংসবাদ, আজ থেকে তিনদিন পর, ৫ আগস্ট আমরা জুলাই সনদ ঘোষণার সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি।
শনিবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ‘রিবিল্ডিং দ্য ন্যাশন: বাংলাদেশ ২.০’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বড় পরিবর্তন জনগণের মধ্যে হয়েছে, তা হলো রাজনৈতিক সচেতনতা। যে প্রেক্ষাপটে গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, জুলাই সনদের ঘোষণাপত্র সেটিকে জাস্টিফাই করে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেন্ট্রাল কানেক্টিং পয়েন্ট, পরবর্তীকালে অনেকেই এই ব্যানারটিকে মিস ইউজ করেছে। যে জায়গা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে সাধুবাদ। তবে আমি প্রত্যাশা করবো, তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা রাখবে।’’
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মরদেহ সম্পর্কে উপদেষ্টা আসিফ মাহমদু বলেন, ‘‘৬টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আছে। হয়তো বেশিদিন রাখা সম্ভব হবে না। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল রাখা হবে। তাদের পরিবার যোগাযোগ করে নিয়ে যেতে পারবেন। আগামী ৪ আগস্ট তাদের দাফন করা হবে।’’
‘‘ডিএনএ টেস্ট করে গণকবরে যারা সমাহিত হয়েছেন, তাদের শনাক্ত করা হবে এবং তাদের পরিবারের কেউ নিয়ে যেতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো’’, যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/রাহাত//