সিরাজগঞ্জে যুবলীগ নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
Published: 7th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের একটি বাথানের ঘর থেকে ইউসুফ আলী স্বপন (৪০) নামে এক যুবলীগ নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। স্বপন উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বীর শুভগাছা গ্রামের ইমান আলী খানের ছেলে।
স্বজন জানান, স্বপন একা চরের ওই বাথানে অবস্থান করে গরু, ভেড়া, ঘোড়া ও ছাগল দেখাশোনো করতেন। প্রতি বুধবার বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের জন্য বাজার করে দিয়ে আবার বাথানে ফিরে যেতেন। গত বুধবার তিনি বাড়িতে যাননি, ফোনও বন্ধ ছিল। পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
বাথানের মালিক স্বপনের বন্ধু শ্রমিক নেতা সারজিল সম্পদ বলেন, মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় বুধবারের পর থেকে স্বপনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। শুক্রবার সকালে স্থানীয় একজনকে বাথানে পাঠানো হলে জানতে পারি, ঘরের মধ্যে স্বপনের মরদেহ পড়ে আছে।
কাজীপুর থানার ওসি নূরে আলম জানান, ধারণা করা হচ্ছে, তিন-চার দিন আগে স্বপনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স বপন র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।
ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী