অনেকেরই ‘ইমপালসিভ বায়িং’ অর্থাৎ আবেগবশে বা ঝোঁকের মাথায় জিনিসপত্র কিনে ফেলার বদভ্যাস আছে। এতে বাড়িতে যেমন অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের স্তূপ জমতে থাকে, তেমনি টাকাপয়সা বাঁচানোও হয়ে পড়ে কঠিন। জেনে নিন এই বদভ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার আটটি উপায়।

প্রয়োজন ছাড়া কোনো পণ্য বিক্রির লিংকে ক্লিক করবেন না

শপিং করতে এখন আর বাজারে যেতে হয় না। বাসায় বসে এক ক্লিকেই যা খুশি তা–ই কিনে ফেলা যায়। এই কারণে আমাদের ‘ইমপালসিভ বায়িং’–এর প্রবণতাও বাড়ছে। দেখা গেল, একটা ওয়েবসাইটে ঢুকেছিলেন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটা পণ্য কিনতে। সেই সাইটেই আরও ১০টা পণ্যের ছবি দেখে সবগুলোতে ক্লিক করলেন, তার মধ্যে দুইটা কিনেও ফেললেন। কিন্তু ওই দুটি পণ্য কেনার কোনো পরিকল্পনাই আপনার ছিল না। এ কারণে, অনলাইনে পণ্যের ছবি দেখেই ক্লিক করা এবং অর্ডার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সময় এবং বাজেটের সীমা নির্ধারণ করুন

মাঝেমধ্যে অনলাইন শপিং নেশার পর্যায়ে চলে যেতে পারে। অনেকেই দেখা যায় কোনো একটা সাইটে প্রতিদিন ভিজিট করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করেন। আপনার যদি এ রকম কোনো বদভ্যাস দেখা দেয়, তাহলে ওই সাইটটি কবে, কতক্ষণের জন্য ভিজিট করবেন, তা নির্ধারণ করে নিন। নির্ধারিত সময়ের বাইরে ওই ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন না।

কেনাকাটার বাজেট নির্ধারণ করাও এ ক্ষেত্রে জরুরি। উৎসবের মৌসুমে নিজেদের জন্য আমরা শপিং করি, আবার পরিবার–পরিজনকেও উপহার দিতে হয়। উৎসবের সময়গুলোতে তাই আমাদের খরচের হাত বেশ খুলে যায়। তাই কার জন্য কত টাকা বরাদ্দ রাখবেন, সেটা আগেভাবেই ঠিক করে নিতে হবে।

অনলাইন শপিং নেশার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে না তো?.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডায় নির্বাচন: মার্ক কার্নির লিবারেল সদর দপ্তরে উৎসব শুরু

কানাডায় ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল আসতে আরও খানিকটা সময় লাগবে। তবে এরই মধ্যে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দল লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। কারণ, দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি বলেছে, এবার লিবারেল সরকার হতে চলেছে।

কানাডার ৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্সে লিবারেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, নাকি তাদের সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে মার্ক কার্নিই যে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বিবিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লিবারেল ১৫৬টি আসনে এগিয়ে আগে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চাই ১৭২টি আসন। খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটি ১৪৭ আসনে এগিয়ে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমাদের নির্বাচন থেকে দূরে থাকুন। কানাডা সব সময় গর্বিত, সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ থাকবে এবং আমরা কখনো ৫১তম অঙ্গরাজ্য হব না।—পিয়েরে পলিয়েভর, বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা

পুরোপুরি বদলে যাওয়া এক নির্বাচনী পরিবেশে গতকাল সোমবার ভোট দিয়েছেন কানাডার জনগণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার ইচ্ছা দেশটিতে নির্বাচনের আগে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল।

ট্রাম্পের এ ধরনের হুমকি কানাডায় দেশপ্রেমের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে লিবারেল পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মার্ক কার্নির প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যায়।

লিবারেল ১৫৬টি আসনে এগিয়ে আগে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চাই ১৭২টি আসন। খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটি ১৪৭ আসনে এগিয়ে।

অথচ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কথাবার্তা শুরু হওয়ার আগে জরিপে প্রতিদ্বন্দ্বী পিয়েরে পলিয়েভরের কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সামান্য পিছিয়ে ছিল কার্নির লিবারেল দল। ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে আক্রমণাত্মক কথা বলা শুরু করলে কানাডীয়দের মধ্যে দেশপ্রেমের জোয়ার ওঠে এবং জরিপের পূর্বাভাসে হঠাৎ বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

ভোটের দিন সকালেও ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম কাঙ্ক্ষিত অঙ্গরাজ্য হয়, তবে শূন্য শুল্কের সম্মুখীন হবে।

লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে সমর্থকদের উল্লাস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোলের উৎসবের ম্যাচে বার্সা-ইন্টারের রুদ্ধশ্বাস ড্র
  • জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আটক তরুণ
  • সুইডেনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩
  • চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়েরা পদক পাবেন না
  • বিশ্বের বড় বড় উৎসব কোথায় হয়
  • প্রাগে পুরস্কৃত ‘নট আ ফিকশন’,অনলাইনে মুক্তি ১ মে
  • প্রাণের গানে সালাহর উৎসব
  • কানাডায় নির্বাচন: মার্ক কার্নির লিবারেল সদর দপ্তরে উৎসব শুরু
  • ফসলের ক্ষেতে আশার আলো
  • কানে ‘আলী’, দায়িত্ব নিলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়