শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে কাল ভারত-নিউজিল্যান্ডের মহারণ
Published: 8th, March 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের ফাইনালে আগামীকাল মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় শুরু হবে শিরোপার লড়াই। টানা তৃতীয়বার ফাইনালে উঠা ভারত চাইবে শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে, অন্যদিকে ২৫ বছর ধরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয়ের অপেক্ষা ঘোচানোর লক্ষ্য কিউইদের।
ভারত ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল। ২০০২ সালে প্রথমবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। তবে ২০১৭ সালের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া। এবার শিরোপা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে রোহিত শর্মার দল।
ফাইনাল প্রসঙ্গে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘টানা তিন বছর আইসিসির তিনটি ফাইনালে খেলছি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও টি-টোয়েন্টির শিরোপা জিতেছি। এবার লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করা।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন রোহিত, ‘এবারের আসরে কিউইরা দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনালে ভালো করেছে তারা। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আধিপত্য দেখিয়েছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার আত্মবিশ্বাসী, ‘আমরা ২৫ বছর ধরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপার জন্য অপেক্ষা করছি। এবার শিরোপা জয়ের সেরা সুযোগ আমাদের সামনে। ভারতকে হারাতে হলে তাদের চেয়েও ভালো খেলতে হবে।’
২০০০ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। সেই ফাইনালে ক্রিস কেয়ার্নসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল তারা। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে হেরে রানার্স-আপ হয় কিউইরা।
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ৬১ বার, নিউজিল্যান্ড ৫০ বার, ১ ম্যাচ টাই এবং ৭টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ