Samakal:
2025-08-01@21:56:17 GMT

যোগ ব্যায়ামে মনের পরিবর্তন

Published: 8th, March 2025 GMT

যোগ ব্যায়ামে মনের পরিবর্তন

শরীর আর মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আপনাকে ঠিক রাখতে আশ্রয় নিতে পারেন যোগ ব্যায়ামের। শুরুতে একটু কষ্টকর এবং পরিশ্রম মনে হলেও কিছুদিনের নিয়মিত অনুশীলনে এ ব্যায়ামে মানিয়ে নিতে পারবেন নিজেকে। এরপর খুব কাছ থেকেই দেখতে পারবেন শরীরের হাত ধরে বেড়ে ওঠা আপনার মনের পরিবর্তন। বয়স বাড়লেও বাড়বে না মন আর শরীরের বয়স। আমৃত্যু থেকে যাবেন টিনএজে। চলুন, জেনে নিই–
ব্যথা ও নমনীয়তা:  দেহের নমনীয়তা যোগ ব্যায়ামের সবচেয়ে বড় সুবিধা। যোগ ব্যায়ামের প্রথম ক্লাসে আপনি হয়তো আপনার অঙ্গগুলো স্পর্শ করতে পারবেন না। আপনি যদি হাল না ছেড়ে এর পেছনে লেগে থাকেন, তবে ধাপে ধাপে সহজ অনুভব করবেন এবং একসময় অনেক কঠিন আসনগুলোও আপনার কাছে সহজ হয়ে উঠবে। দূর হয়ে যাবে ব্যথা। বৃদ্ধি পাবে দেহের নমনীয়তা।  
সঠিক অঙ্গবিন্যাস: আমাদের মাথা দেখতে সাধারণত গোল, বড় ও ভারী বোলিং বলের মতো। যখন সোজা হয়ে থাকি ও মাথাটি মেরুদণ্ডের ওপর ভর রাখে, তখন আমাদের ঘাড় ও পিঠের জন্য মাথাকে সাপোর্ট দেওয়াটা অনেক সহজ হয়ে যায়। যখনই মাথাটি কয়েক ইঞ্চি সামনে নিই, ঘাড় ও পিঠে চাপ অনুভব করি। এভাবে দিনে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা মাথাটি নাড়াচাড়া করলে আমরা ক্লান্ত হয়ে যাই। ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের বাজে অঙ্গবিন্যাসই দায়ী। এটি ঘাড়, পিঠ, অন্যান্য পেশি এবং হাড়ের গোড়ায় ব্যথার সৃষ্টি  করে। যোগ ব্যায়াম আমাদের অঙ্গবিন্যাসে সহায়তা করে এসব সমস্যা থেকে দূরে রাখে। 
অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মেরুদণ্ডের সুরক্ষা: হার্ট, লিভার, কিডনি, অগ্ন্যাশয়ের মতো দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ ও গতিশীল না রাখতে পারলে এক সময় পেশি শক্তিতে বিপর্যয় নেমে আসবে। যোগ ব্যায়াম আমাদের দেহের এই অপরিহার্য অংশগুলোকে সচল রাখতে বেশ ভালো রকমের সহায়তা করে। মেরুদণ্ড আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চলাফেরার সময় দেহের যে পরিবর্তন ঘটে, সেটিকে পুরোপুরি সামলে নিয়ে আমাদের নার্ভকে ঠিক রাখে এই মেরুদণ্ড। পর্যাপ্ত ব্যায়ামের অভাবে এ মেরুদণ্ডের কার্যক্ষমতা শেষ হয়ে যেতে পারে।   
মজবুত হাড় এবং রক্ত সঞ্চালন: ভারী ব্যায়ামগুলো আমাদের হাড়ের শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। যোগ ব্যায়ামের কয়েকটি বিন্যাসে দেহকে রে তুলতে হয়। এতে হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া অন্য ব্যায়ামগু ওপরে আমাদের হাতের হাড়কে মজবুত করে, মেরুদণ্ডের কার্যকারিতা বজায় রাখে। যোগ ব্যায়াম আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বেড়ে যায়। যোগ ব্যায়ামের শিথিলায়ন চর্চা আমাদের হাত ও পায়ের রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে। এতে আমরা সতেজ থাকি। তাছাড়া যোগ ব্যায়াম আমাদের সেলগুলোতে অক্সিজেন সবরাহ করে। এতে আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে। 
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি: শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে দেহের প্রয়োজনীয় হরমন সঠিক সময়ে প্রবাহিত হওয়াটা জরুরি। এতে শরীর হালকা হবে এবং অধিক সময় কাজ করেও মানুষ ক্লান্তিবোধ করবে না। এটি সম্ভব হবে একমাত্র যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে। u

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য গ ব য য় ম আম দ র আম দ র দ হ

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ