সামিট গ্রুপের ১৯১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 9th, March 2025 GMT
গোপালগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফারুক খানের ভাই সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান, পরিবার এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ১৯১ হিসাবের ৪১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬০ টাকার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৯ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম বলেন, “দুদকের পক্ষ থেকে সামিট গ্রুপ এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ১৯১ হিসাবের ৪১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬০ টাকার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন।”
দুদকের উপপরিচালক আলমগীর হোসেন এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধে চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সামিট গ্রুপ এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগসহ ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে তাদের নামে সঞ্চয়ী, এফডিআর ও অন্যান্য হিসাবসমূহের তথ্য পাওয়া যায়। এসব হিসাবসমূহে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রয়েছে।
এসব হিসাবসমূহে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক। যেকোনো সময় এসব অর্থ উত্তোলনপূর্বক বিদেশে পাচার/গোপন করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হয়। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ১৯১টি ব্যাংক হিসাবে জমা ৪১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬০ টাকা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
ঢাকা/মামুন/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হ স ব অবর দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব