প্রথম ম্যাচে হেরেই গিয়েছিল তারকায় ঠাসা মোহামেডান। পরেরটিতে জয় পেলেও হাসেনি অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাট। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দুই ম্যাচে ২২ ও ১৪ রানে আউট হয়ে যাওয়া তামিম মোহামেডানের হয়ে সেঞ্চুরিই তুলে নিয়েছেন আজ। বিকেএসপিতে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মোহামেডান ৭ উইকেটের জয়ও পেয়েছে।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পারটেক্স ৪৬.

৩ ওভারে ২১৮ রানে অলআউট হয়। এরপর তামিমের সেঞ্চুরিতে ওই রান ৪০ ওভার ২ বলেই তাড়া করে ফেলে মোহামেডান। পারটেক্সের হয়ে এদিন হাফ সেঞ্চুরি পান আহরার আমিন। দলের পক্ষে ৮৬ বলে সর্বোচ্চ ৭৮ রানও আসে তাঁর ব্যাট থেকে।

জাওয়াদ রোয়ান ৪৫ বলে ৪২ রান করেন। তবে তাঁদের এই রান দলের স্কোর খুব বেশি বড় করতে পারেনি। ৯.৩ ওভার বোলিং করে ৫০ রান দিয়ে ৪ উইকেট পান মোহামেডানের তাইজুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ পান ৩ উইকেট।

অল্প রান তাড়ায় নেমে ৩৫ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে মোহামেডান। তবে ৬৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তামিম। ৪৩ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়ও। এরপরই মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তামিম।

১১ চার ও ৫ ছক্কার ইনিংসে ১১২ বলে ১২৫ রান করেন তামিম। সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন ছক্কা মেরে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তাঁর ২৩তম সেঞ্চুরি। ৪৪ বলে ৩৫ রান আসে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা হতে আসিনি, তবে...

গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।

এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।

‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।

আইমন শিমলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ