বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিএনপি ধর্মবান্ধব রাজনৈতিক দল, কিন্তু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। বিএনপি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে জনসাধারণকে আদর্শ জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ করে, বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না। আজ রোববার ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে আলেম-ওলামা, ইসলামি চিন্তাবিদ, মসজিদের ইমাম ও এতিমদের নিয়ে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে আলেম-ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, ষড়যন্ত্র–চক্রান্ত করে বিএনপির অগ্রযাত্রা কেউ রোধ করতে পারবে না। বিএনপি ধর্মীয় মূল্যবোধ, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি বিশ্বাস করে, মুসলমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইসলামি মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটলে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে শান্তি, ন্যায্যতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতা–পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা চাপিয়ে দিয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস সংযোজন করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। বিএনপি শহীদ জিয়ার সেই নীতি ধারণ করে চলেছে।

ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আযহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় ইফতার–পূর্ব আলোচনায় অংশ নেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মফিজ উদ্দিন, দক্ষিণ মাইজপাড়া ফতেমতুজ্জোরা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শহিদুল্লাহ, ধোবাউড়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নজিম উদ্দিন প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ