ভারতের কারও স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, কারও মনে পড়ছে পুরোনো ক্ষত
Published: 9th, March 2025 GMT
৪৯তম ওভারের শেষ বলে রবীন্দ্র জাদেজা চার মারতেই নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের শিরোপা জয়। ডাগআউট থেকে ছুটে আসেন তাঁর সতীর্থরা। কেউ জড়িয়ে ধরেন, কেউ তুলে নেন স্টাম্প। এই উদ্যাপনের ভেতর মাঠে দাঁড়িয়েই নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
যাঁর চারে ভারত ম্যাচটা নিশ্চিত করেছে, সেই জাদেজার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ সব সময়ই কমন। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নামার ওই দায়িত্বের কথাই যেন ফাইনাল শেষে স্মরণ করিয়ে দিলেন, ‘আমার ক্ষেত্রে এমনই হয়—হয় হিরো হয়ে যাব, নয়তো জিরো। উইকেটটা সহজ ছিল না। হার্দিক ও লোকেশ দারুণ খেলেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতাটা বিশাল ব্যাপার। এত লম্বা সময় ধরে ক্রিকেট খেলে কিছু জিততে না পারলে খারাপ লাগে। আমি ভাগ্যবান যে পরপর দুটি আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পেরেছি।
ম্যাচ জয়ের পর পুরস্কার অনুষ্ঠানে ভারতের খেলোয়াড়েরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২০ বছর পর শুধু ভেবেই নিজের নাম লিখলেন নিউরালিংক ব্যবহারকারী
২০ বছর ধরে নিজের নাম লিখতে পারেননি অড্রি ক্রুস। অবশেষে কলম বা কি–বোর্ড নয়, শুধু চিন্তা দিয়েই নাম লিখেছেন তিনি। নিউরালিংকের তৈরি মস্তিষ্কে স্থাপনযোগ্য চিপের সাহায্যে এই কাজটি করা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের সই করা একটি ছবি প্রকাশ করেন অড্রি। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘২০ বছর পর প্রথমবার নিজের নাম লেখার চেষ্টা করলাম। এখনো অনুশীলন চলছে।’
অড্রি ক্রুসের বার্তাটি শেয়ার করে নিউরালিংকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লেখেন, ‘তিনি কেবল চিন্তা করেই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করছেন। বেশির ভাগ মানুষ জানেনই না, এখন এমন কিছু সম্ভব।’ এ মন্তব্যের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে প্রযুক্তি মহলে শুরু হয় আলোচনা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পোস্টটি এক কোটির বেশি বার দেখা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, ‘আপনি এটা সত্যিই ভেবে লিখেছেন?’ কেউ কেউ লেখেন, ‘এটাই এ বছরের সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা।’
অনেকে বলছেন, প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে। নিউরালিংকের উদ্ভাবিত চিপ মস্তিষ্কের ভেতরকার স্নায়ুতন্ত্রের সংকেত শনাক্ত করে তা ডিজিটাল কমান্ডে রূপান্তর করতে পারে। ফলে ব্যবহারকারী হাত-পা নাড়াতে না পারলেও কেবল চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অড্রির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি তার হারানো সক্ষমতা ফিরিয়ে এনেছে।
নিউরালিংক এখন ‘ব্লাইন্ডসাইট’ নামে একটি নতুন চিপ নিয়ে কাজ করছে, যার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তিরা আবার দেখতে পাবেন। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি স্বাভাবিকের চেয়েও উন্নত দৃষ্টিশক্তি দিতে সক্ষম হতে পারবে। এখন পর্যন্ত প্রযুক্তিটি শুধু বানরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যেই মানুষের ওপর এর ব্যবহার শুরু করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউরালিংক ২০৩১ সালের মধ্যে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য স্থির করেছে।
সূত্র: টেকক্লুসিভ