চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়: মাঠে বিরাট-আনুশকার আনন্দঘন মুহূর্ত
Published: 10th, March 2025 GMT
নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জেতার পর রাতের দুবাই আরো বেশি ঝলমলে হয়ে উঠেছিল। জয়ের পরই ক্রিকেটার স্বামী বিরাট কোহলির সঙ্গে উদযাপনে মেতে ওঠেন বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা।
এ ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠেই উপস্থিত ছিলেন আনুশকা শর্মা। পরেছিলেন ডেনিম শর্টস আর শার্ট। চোখে-মুখে চিন্তার ছাপ নিয়ে খেলা দেখতে দেখা যায় তাকে। জয়ের পরই বদলে যায় সব দৃশ্যপট। গ্যালারি থেকে মাঠে নেমে যান এই অভিনেত্রী।
গ্যালারির সিঁড়ি বেয়ে যখন আনুশকা মাঠের দিকে নামছেন, তা দেখতে পান বিরাট কোহলি। দ্রুত মাঠ থেকে মধ্য সিঁড়িতে ওঠে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর দুজনে মাঠে নেমে যান।
আরো পড়ুন:
রোহিত ম্যাচসেরা, রাচিন সিরিজ সেরা
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চ্যাম্পিয়ন ভারত
অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আনুশকা-কোহলি পরস্পরের কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছেন। আবার কখনো বিরাটের চুল ঠিক করে দিতে দেখা যায় যত্নবান স্ত্রী আনুশকাকে। এমন বেশ কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেন দর্শকরা; যা এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। এসব দৃশ্য দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।
দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করেন বিরাট-আনুশকা। কিন্তু মিয়া-বিবি কেউ-ই মুখ খুলছিলেন না। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন এই যুগল।
২০২০ সালের আগস্টে আনুশকার প্রথম সন্তানের মা হতে যাওয়ার খবর জানা যায়। এরপর বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বেবি বাম্পের ছবি পোস্ট করেন এই অভিনেত্রী। ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি কন্যা সন্তানের মা হন আনুশকা।
গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন আনুশকা শর্মা। এরপর থেকে স্বামী-সন্তান নিয়েই বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। গত কয়েক বছরে তার অভিনীত কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।
এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।
আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।