খেলোয়াড় হিসেবে আইসিসি ট্রফি জয় করা গৌতম গম্ভীর এবার কোচ হিসেবেও সেই সাফল্যের স্বাদ পেলেন। রোববার দুবাইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। এই জয়ের মাধ্যমে নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছেন গম্ভীর। 

ক্রিকেটার হিসেবে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের জয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন গম্ভীর। এবার কোচ হিসেবে যোগ দিলেন ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে। যদিও কোচিংয়ের শুরুটা সহজ ছিল না তার জন্য। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্স ও অস্ট্রেলিয়ায় বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ হারের পর তার কোচিং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকি চাকরি নিয়েও তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় দিয়ে নিজের অবস্থান সুসংহত করেছেন গম্ভীর।

গম্ভীর ছাড়াও এর আগে ভারতের আরেক কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড় একই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। ২০০২ সালে খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০২৪ সালে কোচ হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। এই তালিকায় রয়েছেন আরও তিনজন। অস্ট্রেলিয়ার ড্যারেন লেহম্যান খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৯৯ ও ২০০৩ বিশ্বকাপ জয় করেন এবং ২০১৫ সালে কোচ হিসেবে একদিনের বিশ্বকাপ জেতেন। একই দেশের জিওফ মার্শ ১৯৮৭ সালে খেলোয়াড় এবং ১৯৯৯ সালে কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয় করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৯৮ সালে (আইসিসি নকআউট) ও কোচ হিসেবে ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে বিশ্বকাপ জয় করেন। এই গৌরবময় তালিকায় এবার যুক্ত হলো গৌতম গম্ভীরের নামও।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গম ভ র

এছাড়াও পড়ুন:

স্টিভ জবসের পথেই রয়েছেন টিম কুক

অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের পর ২০১১ সাল থেকে অ্যাপলকে বেশ ভালোভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল বর্তমানে প্রায় চার লাখ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষ তিন প্রতিষ্ঠানের একটি হিসেবে পরিচিত অ্যাপল নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনেও পিছিয়ে নেই।

টিম কুকের জন্ম ১৯৬০ সালের ১ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের মোবাইল শহরে। অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করার পর তিনি প্রযুক্তিশিল্পে কর্মজীবন শুরু করেন। অ্যাপলে যোগদানের আগে তিনি আইবিএমের পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবসায় ১২ বছর কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে ইন্টেলিজেন্ট ইলেকট্রনিকস ও কম্প্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৮ সালে স্টিভ জবসের আমন্ত্রণে অ্যাপলে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ওয়ার্ল্ডওয়াইড অপারেশনস পদে যোগ দেন টিম কুক। দ্রুতই অ্যাপলের সরবরাহ শৃঙ্খল ও  উৎপাদনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি অ্যাপলের কারখানা বন্ধ করে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য তৈরি শুরু করেন তিনি। ফলে অ্যাপলের উৎপাদন খরচও কমে আসে। ২০০৫ সালে তিনি অ্যাপলের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে পদোন্নতি পান। স্টিভ জবসের অসুস্থতার সময় তিনি একাধিকবার অ্যাপলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন টিম কুক।

জবসের মৃত্যুর কয়েক মাস আগে ২০১১ সালের আগস্ট মাসে টিম কুক আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর পর থেকেই স্টিভ জবসের উদ্ভাবনী জাদুকরের ভাবমূর্তি থেকে বেরিয়ে এসে টিম কুক অ্যাপলকে দক্ষভাবে পরিচালনা করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

অ্যাপল ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্যও আলোচিত টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল ওয়াচ ও এয়ারপডসের মতো সফল পণ্য বাজারে আসে এবং ইন্টেলের পরিবর্তে নিজস্ব চিপ এম১ প্রসেসর ব্যবহার শুরু করে অ্যাপল, যা অ্যাপলের অন্যতম সাহসী ও সফল কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হয়। বর্তমানে প্রযুক্তিশিল্পের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেলেও স্টিভ জবসের গড়ে তোলা আইফোন আর ম্যাকের মতো প্রযুক্তিপণ্যের উদ্ভাবনের ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন টিম কুক।

সূত্র: অ্যাপল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্টিভ জবসের পথেই রয়েছেন টিম কুক