আসন্ন ঈদ–উল ফিতরে নতুন নোট বিনিময়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দিয়ে নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে আনতে না পারায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের শাখায় আগের ডিজাইনের যেসব নতুন নোট রয়েছে তাও বাজারে না ছেড়ে পুনঃপ্রচলন যোগ্য টাকা দিয়ে সব ধরনের লেনদেন করতে বলা হয়েছে। আগামী মে মাসে নতুন ডিজাইনের নোট আসবে বলে জানা গেছে।
ঈদের আগে নতুন নোটের চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন ব্যাংকের ঢাকার ৮০টি শাখা থেকে নতুন নোট বিনিময় বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত এসব শাখা থেকে আগের ডিজাইনের ৫, ২০ ও ৫০ টাকা বাজারে ছাড়ার কথা বলা হয়। তবে আজ ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে আগের ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সমকালকে বলেন, ফ্রেশ নোট বিনিময়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। কেবল ব্যাংক শাখার মাধ্যমে নোট বিনিময় স্থগিত থাকবে তেমন না। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও এবার ফ্রেশ নোট পাবেন না।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দিয়ে নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে আসতে পারে আগামী মে মাসে। ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ডিজাইন এরই মধ্যে ঠিক করে কালি ও কাগজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে সাধারণভাবে নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে আসতে ৯ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে। তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দিয়ে দ্রুততম সময়ে নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বর্তমান সরকার। যে কারণে আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসের মধ্যে নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে ছাড়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২০ বছর পর শুধু ভেবেই নিজের নাম লিখলেন নিউরালিংক ব্যবহারকারী
২০ বছর ধরে নিজের নাম লিখতে পারেননি অড্রি ক্রুস। অবশেষে কলম বা কি–বোর্ড নয়, শুধু চিন্তা দিয়েই নাম লিখেছেন তিনি। নিউরালিংকের তৈরি মস্তিষ্কে স্থাপনযোগ্য চিপের সাহায্যে এই কাজটি করা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের সই করা একটি ছবি প্রকাশ করেন অড্রি। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘২০ বছর পর প্রথমবার নিজের নাম লেখার চেষ্টা করলাম। এখনো অনুশীলন চলছে।’
অড্রি ক্রুসের বার্তাটি শেয়ার করে নিউরালিংকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লেখেন, ‘তিনি কেবল চিন্তা করেই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করছেন। বেশির ভাগ মানুষ জানেনই না, এখন এমন কিছু সম্ভব।’ এ মন্তব্যের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে প্রযুক্তি মহলে শুরু হয় আলোচনা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পোস্টটি এক কোটির বেশি বার দেখা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, ‘আপনি এটা সত্যিই ভেবে লিখেছেন?’ কেউ কেউ লেখেন, ‘এটাই এ বছরের সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা।’
অনেকে বলছেন, প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে। নিউরালিংকের উদ্ভাবিত চিপ মস্তিষ্কের ভেতরকার স্নায়ুতন্ত্রের সংকেত শনাক্ত করে তা ডিজিটাল কমান্ডে রূপান্তর করতে পারে। ফলে ব্যবহারকারী হাত-পা নাড়াতে না পারলেও কেবল চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অড্রির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি তার হারানো সক্ষমতা ফিরিয়ে এনেছে।
নিউরালিংক এখন ‘ব্লাইন্ডসাইট’ নামে একটি নতুন চিপ নিয়ে কাজ করছে, যার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তিরা আবার দেখতে পাবেন। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি স্বাভাবিকের চেয়েও উন্নত দৃষ্টিশক্তি দিতে সক্ষম হতে পারবে। এখন পর্যন্ত প্রযুক্তিটি শুধু বানরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যেই মানুষের ওপর এর ব্যবহার শুরু করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউরালিংক ২০৩১ সালের মধ্যে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য স্থির করেছে।
সূত্র: টেকক্লুসিভ