Samakal:
2025-07-31@21:58:26 GMT

ভারতে খেলতে গিয়ে ধোঁকা

Published: 11th, March 2025 GMT

ভারতে খেলতে গিয়ে ধোঁকা

ঢাকা ছাড়ার আগ পর্যন্ত মোহাম্মদ আশরাফুলরা জানতেন না এশিয়ান লিজেন্ড লিগ অনুমোদনহীন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ভারতের এ বেসরকারি ক্রিকেট লিগ খেললে আইসিএলের মতো নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হবে তাদের। 

বিসিবি থেকে এ বার্তা পাওয়ার পরই ম্যাচ খেলা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্রিকেটাররা। উদয়পুর মিরাজ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গতকাল ইন্ডিয়ান্স রয়েলসের সঙ্গে ম্যাচ ছিল টাইগার্সের। ম্যাচের আগে এ রকম একটি বার্তা বড় ধাক্কা হয়ে ছিল আয়োজক ও ক্রিকেটারদের জন্য। মিরাজ গ্রুপ আয়োজিত এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুমোদিত না। 

এ ব্যাপারে অবহিত হওয়ার পর টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে সতর্ক করে আইসিসি। বিসিবি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ায় রক্ষা। বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, আইসিসির মেইল পাওয়ার পরই ক্রিকেটারদের সতর্ক করা হয়েছিল। অথচ আয়োজকরা ভুল বুঝিয়ে ক্রিকেটারদের খেলার জন্য নিয়ে গেছে।

২০০৮ সালে অনুমোদনহীন ক্রিকেট লিগ আইসিএলে খেলে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন হাবিবুল বাশাররা। মিরাজ গ্রুপের ‘খপ্পরে’ পড়ে লিজেন্ডস লিগ খেলতে গিয়েছিলেন বিপিএল এবং ঢাকা লিগে খেলা বেশির ভাগ ক্রিকেটার। বিসিবিতে কোচের চাকরি করেন– এমন অনেকে গিয়েছিলেন। 

উদয়পুর থেকে আশরাফুল বলেন, ‘বিসিসিআইর অনুমতি নেই। আইসিসি থেকেও নিষেধ করা হয়েছে। প্রতিটি ক্রিকেট বোর্ড থেকে খেলোয়াড়দের চিঠি দিয়েছে না খেলতে। আমরা খেলছি না। কারণ আমাদের দলের ১৪ জন ক্রিকেটারই বিসিবির সঙ্গে যুক্ত। টুর্নামেন্টের আয়োজকরা জানায়নি বর্তমান ক্রিকেট এবং সংশ্লিষ্ট দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ খেলতে পারবে না। এই বিষয়গুলো আমাদের আগে জানালে ভালো হতো। তারা উল্টো বলেছেন, এনওসি লাগবে না।’

এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ সম্পর্কে সতর্ক করে ৩ মার্চ বিসিবিকে চিঠি দেয় আইসিসি। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘আইসিসি থেকে বলা হয়েছে এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ বিসিসিআই অনুমোদিত না হওয়ায় নিষিদ্ধ লিগ বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান ক্রিকেটারদের কেউ খেলতে পারবে না। আমাদের কাছে যে তালিকা এসেছে, সেখানে তিনজন ছাড়া বাকিরা কোনো না কোনো লিগে খেলেন। যারা খেলেন না তারা ডিপিএল, বিপিএল বা বিসিবিতে কোচিং করান। আমরা তাদের আবার জানাই– আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী বিসিবি ব্যবস্থা নেবে।’ 

নিষেধাজ্ঞা আছে জানার পরও দেশের টিভি চ্যানেলই বা কীভাবে খেলা দেখাল? কারণ টি-স্পোর্টস তো বিসিবির নিবন্ধিত চ্যানেল। জাতীয় দলের খেলা, বিপিএলের পাশাপাশি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলাও সম্প্রচার করছে তারা। প্রশ্ন হচ্ছে আইসিসির অনুমোদনহীন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের খেলা তারা কি সম্প্রচার করতে পারে? 

বাংলাদেশ টাইগার্স: নাজিম উদ্দিন, মেহেদী মারুফ, মোহাম্মদ আশরাফুল, নাঈম ইসলাম, নাদিফ চৌধুরী, ইলিয়াস সানি, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, আবুল হোসেন রাজু, মুক্তার আলি, ধীমান ঘোষ, যুবায়ের হোসেন লিখন, নাজমুস সাদাত ও আরিফুল হক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব স স আই অন ম দ আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ