Samakal:
2025-09-18@04:06:33 GMT

ভারতে খেলতে গিয়ে ধোঁকা

Published: 11th, March 2025 GMT

ভারতে খেলতে গিয়ে ধোঁকা

ঢাকা ছাড়ার আগ পর্যন্ত মোহাম্মদ আশরাফুলরা জানতেন না এশিয়ান লিজেন্ড লিগ অনুমোদনহীন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ভারতের এ বেসরকারি ক্রিকেট লিগ খেললে আইসিএলের মতো নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হবে তাদের। 

বিসিবি থেকে এ বার্তা পাওয়ার পরই ম্যাচ খেলা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্রিকেটাররা। উদয়পুর মিরাজ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গতকাল ইন্ডিয়ান্স রয়েলসের সঙ্গে ম্যাচ ছিল টাইগার্সের। ম্যাচের আগে এ রকম একটি বার্তা বড় ধাক্কা হয়ে ছিল আয়োজক ও ক্রিকেটারদের জন্য। মিরাজ গ্রুপ আয়োজিত এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুমোদিত না। 

এ ব্যাপারে অবহিত হওয়ার পর টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে সতর্ক করে আইসিসি। বিসিবি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ায় রক্ষা। বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, আইসিসির মেইল পাওয়ার পরই ক্রিকেটারদের সতর্ক করা হয়েছিল। অথচ আয়োজকরা ভুল বুঝিয়ে ক্রিকেটারদের খেলার জন্য নিয়ে গেছে।

২০০৮ সালে অনুমোদনহীন ক্রিকেট লিগ আইসিএলে খেলে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন হাবিবুল বাশাররা। মিরাজ গ্রুপের ‘খপ্পরে’ পড়ে লিজেন্ডস লিগ খেলতে গিয়েছিলেন বিপিএল এবং ঢাকা লিগে খেলা বেশির ভাগ ক্রিকেটার। বিসিবিতে কোচের চাকরি করেন– এমন অনেকে গিয়েছিলেন। 

উদয়পুর থেকে আশরাফুল বলেন, ‘বিসিসিআইর অনুমতি নেই। আইসিসি থেকেও নিষেধ করা হয়েছে। প্রতিটি ক্রিকেট বোর্ড থেকে খেলোয়াড়দের চিঠি দিয়েছে না খেলতে। আমরা খেলছি না। কারণ আমাদের দলের ১৪ জন ক্রিকেটারই বিসিবির সঙ্গে যুক্ত। টুর্নামেন্টের আয়োজকরা জানায়নি বর্তমান ক্রিকেট এবং সংশ্লিষ্ট দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ খেলতে পারবে না। এই বিষয়গুলো আমাদের আগে জানালে ভালো হতো। তারা উল্টো বলেছেন, এনওসি লাগবে না।’

এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ সম্পর্কে সতর্ক করে ৩ মার্চ বিসিবিকে চিঠি দেয় আইসিসি। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘আইসিসি থেকে বলা হয়েছে এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ বিসিসিআই অনুমোদিত না হওয়ায় নিষিদ্ধ লিগ বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান ক্রিকেটারদের কেউ খেলতে পারবে না। আমাদের কাছে যে তালিকা এসেছে, সেখানে তিনজন ছাড়া বাকিরা কোনো না কোনো লিগে খেলেন। যারা খেলেন না তারা ডিপিএল, বিপিএল বা বিসিবিতে কোচিং করান। আমরা তাদের আবার জানাই– আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী বিসিবি ব্যবস্থা নেবে।’ 

নিষেধাজ্ঞা আছে জানার পরও দেশের টিভি চ্যানেলই বা কীভাবে খেলা দেখাল? কারণ টি-স্পোর্টস তো বিসিবির নিবন্ধিত চ্যানেল। জাতীয় দলের খেলা, বিপিএলের পাশাপাশি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলাও সম্প্রচার করছে তারা। প্রশ্ন হচ্ছে আইসিসির অনুমোদনহীন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের খেলা তারা কি সম্প্রচার করতে পারে? 

বাংলাদেশ টাইগার্স: নাজিম উদ্দিন, মেহেদী মারুফ, মোহাম্মদ আশরাফুল, নাঈম ইসলাম, নাদিফ চৌধুরী, ইলিয়াস সানি, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, আবুল হোসেন রাজু, মুক্তার আলি, ধীমান ঘোষ, যুবায়ের হোসেন লিখন, নাজমুস সাদাত ও আরিফুল হক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব স স আই অন ম দ আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ