রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো প্রশ্নে রুল হাইকোর্টের
Published: 11th, March 2025 GMT
রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের শপথ পাঠ করানো কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়েজীর পক্ষে রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এ রিটটি দায়ের করা হয়। রিটে রাষ্ট্রপতিকে দেশের প্রধান বিচারপতি শপথবাক্য পাঠ করাবেন বলেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতার পর প্রণীত বাহাত্তরের সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির শপথ পড়ানোর বিধান রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান সংযুক্ত করা হয়। এজন্য রিটে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথ পড়াবেন মর্মে নির্দেশনা চাওয়া হয়। হাইকোর্ট রুল জারি করে এ বিষয়ে বিবাদীদের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত শপথ স প ক র র শপথ প র ষ ট রপত ক ব চ রপত
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।