মাত্র ২০ লাখ রুপিতে গত আইপিএল খেলেছেন। প্রথমবার আইপিএল মৌসুমে খেলেন মাত্র ৪ ম্যাচ। এই ৪ ম্যাচে মায়াঙ্ক যাদব যে গতির ঝড় তোলেন, তাতে ২০ লাখ রুপির মায়াঙ্কের দাম বেড়ে এবার হয়েছে ১১ কোটি রুপি, আগেরবারের চেয়ে যা ৫৫ গুণ বেশি। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস তাঁকে নিলামেই তোলেনি। এত রুপি খরচ করে ধরে রাখা মায়াঙ্ককে এবারও পুরো মৌসুমের জন্য পাচ্ছে না লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।

ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী এই পেসার টুর্নামেন্টের প্রথম অংশে থাকছেন না। পিঠের নিচের অংশের চোট কাটিয়ে মাত্রই বোলিং শুরু করেছেন মায়াঙ্ক। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেই টুর্নামেন্টের শেষ দিকে মাঠে দেখা যাবে এই পেসারকে।

নিজের প্রথম আইপিএলে সাইড স্ট্রেইন চোটে পড়া মায়াঙ্কের গত অক্টোবরে ভারতের হয়ে অভিষেক হয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই সিরিজে চোট থেকে ফিরেই ১৫০ কিলোমিটারের আশপাশে বোলিং করেছেন। যদিও তাঁর জন্য এটি আহামরি কিছু ছিল না। আইপিএলের প্রথম মৌসুমে ঘণ্টায় ১৫৬ কিলোমিটার গতিতেও বোলিং করেছিলেন এই পেসার।

মায়াঙ্ক যাদব ১৫৬ কিলোমিটার গতিতেও বোলিং করেছেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ