পানির তিনটি রূপ সম্পর্কে আমরা জানি। কঠিন (বরফ), তরল ও বাষ্পীয় রূপে পানির অবস্থান দেখা যায়। তবে ভিনগ্রহে পানির আদৌও এমন রূপ রয়েছে কি না, তা নিয়ে অনেক তত্ত্ব চালু আছে। এবার পানির নতুন রূপ ‘প্লাস্টিক আইস সেভেন’ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অতীতে বেশ কয়েকটি তাত্ত্বিক মডেলে ‘প্লাস্টিক আইস সেভেন’-এর উপস্থিতি সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হলেও এবারই প্রথম পানির নতুন রূপ থাকার বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেল।

নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের ইনস্টিটিউট লাউ-ল্যাঞ্জেভিনের একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি উচ্চ ক্যালিবার যন্ত্র ব্যবহার করে পানিকে ৬ গিগাপ্যাসকেল চাপে ৩২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করে পানির নতুন রূপ প্লাস্টিক আইস সেভেন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। পানির নতুন রূপ তৈরির জন্য বিজ্ঞানীরা কোয়াসি–ইলাস্টিক নিউট্রন স্ক্যাটারিং (কিউইএনএস) পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন, যা হাইড্রোজেন পরমাণুর মতো ক্ষুদ্র কণার গতিবিধি শনাক্ত করতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপের সম্মুখীন হলে প্লাস্টিক আইস সেভেনের মধ্যে হাইড্রোজেন একটি অণুবীক্ষণিক স্তরে ঘুরতে থাকে। এ বিষয়ে পদার্থবিদ মারিয়া রেসিগনো বলেন, প্লাস্টিক আইস সেভেনে তরল পানি ও কঠিন (বরফ) উভয়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই এমন নামকরণ করা হয়েছে। এতে হাইড্রোজেন পরমাণু কিছুটা বিশৃঙ্খল হলেও এর একটি অনন্য কাঠামো রয়েছে।

গবেষকদের তথ্যমতে, আমাদের সৌরজগতের বরফযুক্ত গ্রহ, যেমন নেপচুন, ইউরেনাস বা বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায় প্লাস্টিক আইস সেভেন থাকতে পারে। এমন সন্ধান বরফযুক্ত গ্রহের ভূগতিবিদ্যা ও বৃহৎ বরফযুক্ত চাঁদের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ল স ট ক আইস স ভ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ