ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি
Published: 11th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আগামী দিনে ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে কোরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ছাত্রশিবিরের ‘শহীদ দিবস’ উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে আসেন সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এই অনুষ্ঠান শেষে তিনি ছাত্রদলের কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী, রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সবসময় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন মন্তব্য করেন জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ কিন্তু অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা অনেক সময় নষ্ট করেছি। সবসময়ই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দূরদর্শী, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গঠনের দিকে ছিলেন। ৭১ পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক সমস্যা ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমানের দূরদর্শিতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ তার অবস্থান শক্তভাবে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ৭১-এর পরে পার্শ্ববর্তী দেশের পরিকল্পনার মাধ্যমে ইসলামকে মুছে দেওয়ার একটি গভীরতম নীল নকশা করা হয়েছিল। সেটিও মিশিয়ে দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার যে আপসহীন চরিত্র সেটি এখনও পর্যন্ত ওনাকে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত রেখেছে। আমরা চাই আগামী দিনে ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যারাই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবেন। রাজনীতির মাঠে একেকজনের আদর্শ, চিন্তা, বক্তব্য আলাদা থাকবে এটাই রাজনৈতিক সৌন্দর্য। কিন্তু দিনশেষে দেশটা আমার, আপনাদের ও আমাদের সকলের। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সবার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’
শিবিরের নেতা-কর্মীকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘যখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা উঠিয়ে দিয়েছিল, তখন আপনারা কি করেছিলেন? যখন বিভিন্ন আলেম কুরআনের অপব্যাখ্যা করে তখন আপনারা ভোটের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেন না। কিন্তু ইসলামি ছাত্র সংগঠন হিসেবে এসব বিষয়ে আপনাদের কথা বলা উচিত।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ হ দ ল ইসল ম ছ ত রদল র অন ষ ঠ ন র রহম ন ক রআন
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫