আইসিসির ফেব্রুয়ারি মাসের সেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের ওপেনার শুভমান গিল। তিনি অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ ও নিউ জিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপসকে পেছনে ফেলে এ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।
ফেব্রুয়ারি মাসে গিল ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে ছিলেন। পাঁচটি ওয়ানডে খেলে তিনি ৪০৬ রান করেছেন, স্ট্রাইক রেট ৯৪.১৯ এবং ব্যাটিং গড় ১০১.
এরপর আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও গিলের ব্যাটিং দাপট অব্যাহত ছিল। দুবাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে অপরাজিত ১০১ রান করে দলকে জেতান তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচেও ৪৬ রান করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
আরো পড়ুন:
৭৫ শতাংশ কমানো হলো পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর
এটি গিলের ক্যারিয়ারের তৃতীয় আইসিসি মাসসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও সেপ্টেম্বরে তিনি এই সম্মাননা অর্জন করেছিলেন।
অন্যদিকে, নারীদের ক্যাটাগরিতে ফেব্রুয়ারির সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার লেগ-স্পিনার অ্যালানা কিং। তিনি নারী অ্যাশেজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার সঙ্গে মনোনীত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ারই অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড এবং থাইল্যান্ডের থিপাচা পুথাওং।
টানা তৃতীয় অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেটার হিসেবে মাসসেরার পুরস্কার জিতলেন কিং। তার আগে জানুয়ারিতে বেথ মুনি ও ডিসেম্বরে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন কর ছ
এছাড়াও পড়ুন:
তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।
এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স— ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।
আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগেভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।
ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।
তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল