ফুডভ্লাগার নুসরাত ইসলাম কেন ‘জলটান বিডি’ নাম নিলেন, এর অর্থ কী
Published: 13th, March 2025 GMT
কনটেন্ট ক্রিয়েশনে কোনো আগ্রহ ছিল না নুসরাত ইসলামের। খুব একটা গুরুত্বও দিতেন না। তাঁর ভাষায়, ‘সত্যি বলতে, এ ব্যাপারে তেমন কোনো ধারণাই ছিল না। অন্যরা কীভাবে কনটেন্ট বানায়, তা–ও কোনো দিন সরাসরি দেখিনি।’
তাহলে কীভাবে ফুডভ্লগিং শুরু করলেন? নুসরাত বললেন, ‘এর পেছনে পুরো অবদানই আমার স্বামীর। তিনিই সাহস জুগিয়েছেন। মূলত কিছুটা জোর করেই তিনি আমাকে রাজি করান। শুরুতে দ্বিধা থাকলেও ধীরে ধীরে তা কাটতে শুরু করে।’
করোনাকালে একদিন একটা ভিডিও ধারণ করে ইউটিউবে আপলোড করেন নুসরাত। পরদিনই দেখেন, প্রায় ১২ হাজার ভিউ! খুব স্বাভাবিকভাবেই পেয়ে যান দারুণ অনুপ্রেরণা। নুসরাত বললেন, ‘এতে আত্মবিশ্বাসী হই, মানুষ আমাকে পছন্দ করছে। ভাবলাম, এখন যেহেতু ঘরে বসে অলস সময় কাটছে, তাই নতুন নতুন কনটেন্ট বানানোই যায়।’
বলা যায়, স্বামীর অনুপ্রেরণা ও দর্শকের ভালোবাসায় সংবাদ উপস্থাপক নুসরাত ইসলাম হয়ে ওঠেন আজকের জলটান বিডি। বর্তমানে তাঁর ফেসবুক পেজে অনুসারী ১৪ লাখ, ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ৮৮ হাজারের বেশি।
ফুডভ্লগিংয়ের পাশাপাশি নুসরাত এখন নিয়মিত ভ্রমণবিষয়ক ভিডিও বানান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাইক্রোসফটের বদলে গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে চ্যাটজিপিটি, কেন
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রোসফট। আর তাই চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সার্ভার ব্যবহার করে আসছে ওপেনএআই। তবে এবার মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম পরিচালনায় গুগলের ক্লাউড অবকাঠামো ও সার্ভার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ওপেনএআই।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেল পরিচালনার জন্য গত মাসে গুগলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওপেনএআই। চুক্তির আওতায় গুগল তাদের ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড সেবায় ‘অতিরিক্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা’ দেবে ওপেনএআইকে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভবিষ্যতের এআই উন্নয়ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
চ্যাটজিপিটি মূলত মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিচালনা করা হয়। তাই ওপেনএআই এত দিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে পারেনি। গত জানুয়ারি মাসে এই একচেটিয়া চুক্তির সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পর ওপেনএআই নতুন অংশীদার খুঁজতে শুরু করে। তবে চ্যাটজিপিটি পুরোপুরি গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে, না মাইক্রোসফট ও গুগলের সার্ভার যৌথভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাটজিপিটি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু রাখা অনেক সহজ হবে। এতে যেকোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সিস্টেম সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও মিলবে।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ