যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, লুণ্ঠিত মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।

গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করা হলে তাদের তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে ৯ মার্চ রাতে মহাসড়কের কোনাবাড়ি এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো– সিরাজগঞ্জ শহরের মাহমুদপুর মহল্লার হামিদুল ইসলামের ছেলে তুষার হোসেন (৩০), রায়পুর উত্তরপাড়ার আব্দুল লতিফ খানের ছেলে তুষার আহম্মেদ (২৯), কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ি গ্রামের সোলায়মান মণ্ডলের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার মানিক মণ্ডলের ছেলে আব্দুর রহিম মণ্ডল (৩৬)।

সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের এস আই নাজমুল হক বলেন, গত রোববার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতরা ঢিল ছুড়ে। চালক মাইক্রোবাস থামালে তারা অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ছয়টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতেই যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় মামলা হয়।

এর পর মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে একটি রামদা, একটি হাঁসুয়া, একটি ডেগার, একটি লোহার রড, লুণ্ঠিত তিনটি মোবাইল ও নগদ ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। 

এসআই নাজমুল আরও বলেন, বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করা হলে রাশেদুল বাদে বাকিরা দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এর পর তাদের সবাইকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ স র জগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ