সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
Published: 13th, March 2025 GMT
যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, লুণ্ঠিত মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করা হলে তাদের তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে ৯ মার্চ রাতে মহাসড়কের কোনাবাড়ি এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো– সিরাজগঞ্জ শহরের মাহমুদপুর মহল্লার হামিদুল ইসলামের ছেলে তুষার হোসেন (৩০), রায়পুর উত্তরপাড়ার আব্দুল লতিফ খানের ছেলে তুষার আহম্মেদ (২৯), কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ি গ্রামের সোলায়মান মণ্ডলের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার মানিক মণ্ডলের ছেলে আব্দুর রহিম মণ্ডল (৩৬)।
সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের এস আই নাজমুল হক বলেন, গত রোববার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতরা ঢিল ছুড়ে। চালক মাইক্রোবাস থামালে তারা অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ছয়টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতেই যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় মামলা হয়।
এর পর মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে একটি রামদা, একটি হাঁসুয়া, একটি ডেগার, একটি লোহার রড, লুণ্ঠিত তিনটি মোবাইল ও নগদ ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এসআই নাজমুল আরও বলেন, বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করা হলে রাশেদুল বাদে বাকিরা দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এর পর তাদের সবাইকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ স র জগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি