৪২ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাস্টন ভিলা
Published: 13th, March 2025 GMT
সবশেষ ১৯৮৩ সালে ইউরোপ সেরার কোনো প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল অ্যাস্টন ভিলা। এরপর গেল ৪২ বছরে সেই গণ্ডিতে আর পা রাখতে পারেনি তারা। অবশেষে পিএসজি ও আর্সেনালের সাবেক কোচ ইউনাই এমরির তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটলো তাদের। দুই লেগ মিলিয়ে ক্লাব বুর্গেকে ৬-১ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে ভিলান্সরা।
বুর্গের মাঠে ৩-১ গোলে জয় পাওয়া অ্যাস্টন ভিলা বুধবার (১২ মার্চ, ২০২৫) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে জিতেছে ৩-০ ব্যবধানে। অবশ্য গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫০ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় লিওন বেইলির বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জালে জড়ান মার্কো আসেনসিও।
৫৭ মিনিটের মাথায় বাম পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইয়ান মাতসেন। খুব কাছ থেকে তাকে গোল করতে সহায়তা করেন মর্গান রজার্স। ৬১ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের অ্যাসিস্টে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন আসেনসিও। তাতে ৩-০ ব্যবধানে অ্যাস্টন ভিলার জয় নিশ্চিত হয়। নিশ্চিত হয় ৪২ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনাল।
আরো পড়ুন:
রুদ্ধশ্বাস লড়াই জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল
লেভারকুজেন কি পারবে ২৩ বছরের অপেক্ষার অবসার ঘটাতে?
সবশেষ ১৯৮৩ সালে ইউরোপিয়ান কাপের শেষ আটে খেলেছিল দ্য ভিলান্সরা। এবার অবশ্য শেষ আটে তাদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। লিভারপুলকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আসা পিএসজির বিপক্ষে লড়তে হবে এমরির শিষ্যদের।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ ক য় র ট র ফ ইন ল অ য স টন ভ ল ব যবধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।