সবশেষ ১৯৮৩ সালে ইউরোপ সেরার কোনো প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল অ্যাস্টন ভিলা। এরপর গেল ৪২ বছরে সেই গণ্ডিতে আর পা রাখতে পারেনি তারা। অবশেষে পিএসজি ও আর্সেনালের সাবেক কোচ ইউনাই এমরির তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটলো তাদের। দুই লেগ মিলিয়ে ক্লাব বুর্গেকে ৬-১ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে ভিলান্সরা।

বুর্গের মাঠে ৩-১ গোলে জয় পাওয়া অ্যাস্টন ভিলা বুধবার (১২ মার্চ, ২০২৫) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে জিতেছে ৩-০ ব্যবধানে। অবশ্য গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫০ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় লিওন বেইলির বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জালে জড়ান মার্কো আসেনসিও।

৫৭ মিনিটের মাথায় বাম পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইয়ান মাতসেন। খুব কাছ থেকে তাকে গোল করতে সহায়তা করেন মর্গান রজার্স। ৬১ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের অ্যাসিস্টে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন আসেনসিও। তাতে ৩-০ ব্যবধানে অ্যাস্টন ভিলার জয় নিশ্চিত হয়। নিশ্চিত হয় ৪২ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনাল।

আরো পড়ুন:

রুদ্ধশ্বাস লড়াই জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল

লেভারকুজেন কি পারবে ২৩ বছরের অপেক্ষার অবসার ঘটাতে?

সবশেষ ১৯৮৩ সালে ইউরোপিয়ান কাপের শেষ আটে খেলেছিল দ্য ভিলান্সরা। এবার অবশ্য শেষ আটে তাদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। লিভারপুলকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আসা পিএসজির বিপক্ষে লড়তে হবে এমরির শিষ্যদের।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ ক য় র ট র ফ ইন ল অ য স টন ভ ল ব যবধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

৪২ বছর পর নিউ জিল‌্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল‌্যান্ড

১৯৮৩ সাল আবার মনে করাল ইংল‌্যান্ড। নিউ জিল‌্যান্ডে গিয়ে সেবার ইংল‌্যান্ড ৩-০ ব‌্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। ৪২ বছর পর একই অভিজ্ঞতা হলো এবার তাদের।

আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা নিউ জিল‌্যান্ড এবার আরো চেপে ধরেছিল ইংল‌্যান্ডকে। তবুও লড়াই করে ওয়েলিংটনে অতিথিরা ২২২ রানের পুঁজি পায়। হোয়াইটওয়াশের মিশনে থাকা নিউ জিল‌্যান্ডের ব‌্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। লো স্কোরিং ম‌্যাচ জমে উঠে। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৪ ওভারে হাতে ২ উইকেট রেখে লক্ষ‌্যে পৌঁছে যায় কিউইরা। ১৯৮৩ সালের পর প্রথম নিউ জিল‌্যান্ড ইংল‌্যান্ডকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করল।

টস হেরে ব‌্যাটিং করতে নেমে ইংল‌্যান্ড চরম বিপর্যয়ে পড়ে। ৯৭ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। ১০২ রানে তাদের শেষ স্বীকৃত ব‌্যাটসম‌্যান জস বাটলার (৩৮) আউট হন। তখন ধারণা করা হচ্ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাবে সাবেক বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়নরা।

কিন্তু সেখানে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ব্রাইডন চার্স ও জেমি ওভারটন। দুজন ৫৮ রানের জুটি গড়েন। যেখানে ব্রাইডন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিয়ে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন। ইংল‌্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি আসে তাদের ব‌্যাটেই।

শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে ওভারটন আউট হন ৪১তম ওভারে। ৬২ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। এর আগে জেমি স্মিথ (৫), বেন ডাকেট (৮), জো রুট (২) ও হ‌্যারি ব্রুক (৬) দ্রুত আউট হন। দলের প্রথম ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন পাঁচ নম্বরে নামা জ‌্যাকব মিচেল। তবুও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

নিউ জিল‌্যান্ডের বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। ৬৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন ব্লায়ার টিকনার। ৩ উইকেট পেয়েছেন জ‌্যাকব টাফি। ২টি পেয়েছেন জ‌্যাক ফলকস।

জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৮ রান পায় কিউইরা। ডেভন কনওয়ে ৩৪ ও রাচীন রাভিন্দ্রা ৪৬ রান করেন। এরপর ছন্দ হারিয়ে ব‌্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ডার্ল মিচেলের অনবদ‌্য ৪৪ ও শেষ দিকে মিচেল স্টানারের ২৭ রানে নিউ জিল‌্যান্ড লড়াইয়ে ফেরে। শেষ দিকে জ‌্যাক ফলকসের ১৪ ও ব্লায়ার টিকনারের ১৮ রানে নিউ জিল‌্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়।

ইংলিশদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও স‌্যাম কারান।

এই সিরিজে ইংল‌্যান্ডের ব‌্যাটিং একটুও ভালো হয়নি। প্রথম ম‌্যাচে ২২৩ ও দ্বিতীয়টিতে ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায়। নিউ জিল‌্যান্ড জয় পায় যথাক্রমে ৪ ও ৫ উইকেটে। শেষ ম‌্যাচে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়লেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি ইংল‌্যান্ড।

বল হাতে ৪ উইকেট ও ব‌্যাটিংয়ে ১৮ রান করে ম‌্যাচ সেরা নির্বাচিত হন টিকনার। ১৭৮ রান করে সিরিজ সেরা ডার্ল মিচেল।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪২ বছর পর নিউ জিল‌্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল‌্যান্ড