কাজী নাবিল আহমেদদের ৩৬ কোম্পানির ৪ কোটি ২৬ লাখ শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 13th, March 2025 GMT
জেমকন গ্রুপের মালিক ও যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তাঁর দুই ভাই, এক বোন, মা, মৃত বাবাসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, জেমকন গ্রুপের ৩৬টি কোম্পানির ৪ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮টি শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব শেয়ারের দাম ৬০ কোটি ৪৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
জেমকন গ্রুপের যাঁদের শেয়ার হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন কাজী নাবিল আহমেদ, কাজী আনিস আহমেদ, কাজী ইনাম আহমেদ ও নাবিলের বোন কাজী আমিনা আহমেদ।
জেমকন গ্রুপের যেসব কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ক্যাস্টেল কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, জেমকন লিমিটেড, চরকা এসপিসি পোলস লিমিটেড, কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেড, চরকা স্টিল লিমিটেড, করতোয়া টি স্টেট লিমিটেড, রসুনপুর টি ফ্রন্টিয়ার লিমিটেড, জেমকন টি এস্টেট লিমিটেড, পাঠার লিমিটেড, জেমকন ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল প্রোডাক্টস লিমিটেড, জেমকন সিটি লিমিটেড, জেম জুট লিমিটেড, বেঙ্গল হারবাল গার্ডেন লিমিটেড, জেমকন সি ফুড লিমিটেড, মীনা সুইটস অ্যান্ড কনফেশনারিস লিমিটেড, টু এ মিডিয়া লিমিটেড, মীনা রিটেইলস লিমিটেড, আজকের কাগজ লিমিটেড, খবরের কাগজ প্রকাশনা লিমিটেড, জেমকন স্পোর্টস লিমিটেড, জেমিনি অ্যাগ্রি ডিভিশন লিমিটেড, জেম গ্লোবাল ইনফো অ্যান্ড কমার্স লিমিটেড, জেমকন রিনিউয়েবল এনার্জি টেকনোলজি লিমিটেড, বাংলা ট্রিবিউন, প্যাপিরাস কমিউনিকেশনস লিমিটেড, ক্যাস্টেল ইউনিভার্সেল কোম্পানি লিমিটেড, মীনা অ্যাডভান্স রিটেইল ট্রেডিং লিমিটেড, প্যাপিরাস ডিজিকম লিমিটেড, মীনা ক্লিক লিমিটেড, জেমকন অ্যাগ্রো লিমিটেড, জেমকন কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, জেমকন ড্রেজার লিমিটেড, জেমকন হাইওয়েস অ্যান্ড রোডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, জেমকন কানেকটিভিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, জেমকন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও অর্গানিকর লিমিটেড।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জেমকন গ্রুপের কাজী নাবিল আহমেদ, তাঁর দুই ভাই, মা, মৃত বাবাসহ ১০ জনের নামে থাকা ১১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, কাজী নাবিল আহমেদের ২১টি ব্যাংক হিসাব, তাঁর ভাই আনিস আহমেদের ২০টি, কাজী ইনাম আহমেদের ১০টি এবং তাঁদের মা আমিনা আহমেদের নামে থাকা ২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এর বাইরে কাজী নাবিল আহমেদের মৃত বাবার নামে থাকা সাতটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া কাজী নাবিল আহমেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট পাঁচজন মালিয়া মান্নান আহমেদ, কাজী সিরাজ আহমেদ, লতিফা মান্নান ইসলাম, রাইয়াদ জায়েদ মান্নান ও আবু মুসার নামে থাকা ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি কাজী নাবিল আহমেদ, তাঁর দুই ভাই ও তাঁদের মায়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে সেদিন আদালতকে জানানো হয়েছিল, জেমকন গ্রুপের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক জালিয়াতি ও অন্যান্য দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ব ল আহম দ র অবর দ ধ আহম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
নারীর গুরুতর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিজয়
দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা বিজয় সেতুপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন রম্য মোহন নামে এক নারী। এ অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চর্চা চলছে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই দাপুটে অভিনেতা।
বিজয় সেতুপতি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তাতে তিনি বলেন, “যারা আমাকে চেনেন, এমনকি অল্প হলেও চিনেন, তারা বিষয়টিকে হাস্যকর বলে মনে করবেন। আমি জানি আমি কে। এই ধরণের জঘন্য অভিযোগ আমাকে বিরক্ত করে না। আমার পরিবার, ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা বিরক্ত। আমি তাদের বলি, ‘এটা বাদ দাও।’ এটা পরিষ্কার এই নারী, প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে; কয়েক মিনিটের খ্যাতি অর্জন করেছে, তাকে এটি পেতে দিন।”
আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে বিজয় সেতুপতি বলেন, “সাইবার ক্রাইমে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। গত সাত বছর ধরে নানা গুঞ্জন সহ্য করেছি। এর কোনোটি আমাকে প্রভাবিত করেনি এবং কখনো করবেও না।”
আরো পড়ুন:
বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা অভিনেতার স্ত্রীর
আমাকে খারাপভাবে স্পর্শ করত, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে জনি লিভারের কন্যা
রম্য মোহন নামে এক নারী তার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিজয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। তাতে তিনি লেখেন, “তেলেগু সিনেমায় নেশা-কাস্টিং কাউচের সংস্কৃতি মজার কোনো ব্যাপার নয়। আমি একটি মেয়েকে চিনি, যে এই ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন বিজয় সেতুপতির হাতে ‘মানসিক ও শারীরিক শোষণের’ শিকার হয়েছেন। সেই তরুণী শেষ পর্যন্ত মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে পুনর্বাসনকেন্দ্রে যেতে বাধ্য হন।”
রম্যর অভিযোগ, “বিজয় সেতুপতি কলিউডের (তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি) তথাকথিত ‘গ্ল্যামার–সংস্কৃতি’র আড়ালে অশুভ এক বলয়ের অংশ, যেখানে ‘অডিশন’ কিংবা ‘পেশাগত সুযোগ’–এর নামে নারীদের ওপর অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়। তার ভাষায়, ‘সেতুপতির মতো শিল্পীরা শিল্পের স্বাভাবিক নিয়মের ছদ্মবেশে মেয়েদের কাছে ‘অনৈতিক সুবিধার’ বিনিময়ে অর্থের প্রস্তাব দিতেন।” যদিও পরবর্তীতে এ পোস্ট মুছে ফেলেন এই নারী।
ঢাকা/শান্ত