‘কিংস পার্টি’ এত টাকা কোথায় পায়, প্রশ্ন বুলুর
Published: 13th, March 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘‘কিংস পার্টি কোথায় থেকে এত টাকা পায়? এই পার্টি করার জন্য তারা কোটি কোটি টাকা কোথায় থেকে পায়। তারা কয় দিন আগে টিউশনি করছেন, কলেজের হলে ছিলেন, হঠাৎ করেই তারা রাজকীয় অবস্থায় কোটি কোটি টাকার গাড়িতে চলেন, এত টাকা কোথায় থেকে আসল?’’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পটভূটিতে দেশে সৃষ্টি হওয়া নতুন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এ সব কথা বলেন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘‘বর্তমানে কিংস পার্টি জেলা অফিস, এসপি অফিসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বসে তদবির ও চাঁদাবাজি করে কাজ নিচ্ছেন, তাই তাদের নাম আসছে না।’’
আরো পড়ুন:
দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হলেও জনপ্রত্যাশা পূরণ হয়নি: আমান
রাজশাহীতে নেতাকে বরণ করা নিয়ে সংঘর্ষ, বিএনপি কর্মীর মৃত্যু
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে দলের বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
এ সময় বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, ‘‘বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা লুটপাট করছে, তাদের কথা আসছে না। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা রাখার জন্য যে সকল শিল্পপতিরা অপচেষ্টা চালিয়েছেন, তাদের নাম আসছে না। কোনো মিডিয়া হাউসেই তাদের নাম আসছে না।’’
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘‘জামায়াতে ইসলাম করলে বেহেস্তে চলে যাবেন, এই কথাগুলোতো আসছে। শুধু বিএনপির দোষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। বিএনপি ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। ২০ হাজার লোক মারা গিয়েছে। ২ হাজার নেতাকর্মী গুম হয়েছে। ৬৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাড়িঘরে থাকতে পারে নাই। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, আমাদের মধ্যে যদি কোনো দোষত্রুটি থাকে, অন্যায় অপরাধ করে থাকে; তাদের চিহ্নিত করে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়ার সঞ্চালনায় কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা, মহানগর, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নেতাকর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রুবেল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র ন ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।