পাকিস্তানে ট্রেন ছিনতাইয়ের সাথে সম্পর্কিত ফোনকল আফগানিস্তান থেকে এসেছিল
Published: 13th, March 2025 GMT
পাকিস্তানে ট্রেন ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত ফোন কলগুলো আফগানিস্তান থেকে এসেছিল। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ৪৪০ জন যাত্রী নিয়ে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ট্রেনটিতে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। তারা ট্রেনে গুলি চালায় এবং যাত্রীদের জিম্মি করে, যার ফলে নিরাপত্তা বাহিনী দুই দিন ধরে অভিযান শুরু করে। বুধবার রাতে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন যে অভিযান শেষ হয়েছে, হামলাস্থলে উপস্থিত ৩৩ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২১ জন যাত্রী এবং চারজন ফ্রন্টিয়ার কর্পস সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র শাফকাত আলী খানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে ভারত থেকে আফগানিস্তানের দিকে পাকিস্তানের অবস্থান কি পরিবর্তিত হয়েছে?
জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এবং আবারও বলছি, ঘটনাগুলো পরিবর্তিত হয়নি। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে। আমি যা বলছিলাম তা হল, এই বিশেষ ঘটনায়, আমাদের কাছে আফগানিস্তানে কল ট্র্যাক করার প্রমাণ রয়েছে। আমি এটাই বলেছি।”
তিনি জানান, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের শিকার। দেশের বাইরে শক্তিগুলো এর পরিকল্পনা, সংগঠন এবং পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।
শাফকাত আলী বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের অঞ্চলে শান্তির বিরুদ্ধে অনেক শক্তি রয়েছে যারা সন্ত্রাসবাদ দমন এবং একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অভূতপূর্ব এবং আন্তরিক প্রচেষ্টার সুফল দেখতে চায় না।”
তিনি জানান, জাফর এক্সপ্রেসের উপর সন্ত্রাসী হামলাটিও ‘বিদেশ থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী চক্রের নেতাদের পরিকল্পিত এবং পরিচালিত’ ছিল।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’
আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।
পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’
শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি