Prothomalo:
2025-05-01@00:14:04 GMT

পাই দিবস আজ

Published: 14th, March 2025 GMT

গণিতে যে কয়টা ধ্রুবক মান রয়েছে, তার মধ্যে বহুল ব্যবহৃত ও উল্লেখযোগ্য হলো পাই–এর মান। এই মান ৩.১৪১৫৯২৬৫৩৫৮৯৭৯...। আর এভাবেই চলতে থাকে রহস্যময় সংখ্যাটি। এর শেষ কোথায়, তা কেউ বলতে পারে না। অদ্ভুত সুন্দর ও অমীমাংসিত রহস্যময় পাই নিয়ে আজও গবেষণা চলছেই। আর তাই প্রতিবছর ১৪ মার্চ সারা বিশ্বের গণিত ও বিজ্ঞানে উত্সাহী ব্যক্তিরা বিশ্বব্যাপী পাই দিবস উদ্‌যাপন করে থাকেন।

পাই–এর মান ৩.

১৪১৫৯২৬৫৩৫৮৯৭৯...। মার্চ মাসের ১৪ তারিখকে ৩/১৪ আকারে প্রকাশ করা যায় বলে ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর আজকের দিনটিতে পাই দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। ২০১৯ সালে ইউনেস্কো পাই দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে উদ্‌যাপন শুরু করে।

আরও পড়ুনপাইয়ের মানে নতুন বিশ্ব রেকর্ড১৮ মার্চ ২০২৪

পাইয়ের প্রথম নির্ভুল গণনা করা হয় ২৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। বিখ্যাত গণিতবিদ আর্কিমিডিস এই মান গণনা করেন। আর্কিমিডিস পিথাগোরাসের উপপাদ্য ব্যবহারে করে সংখ্যাটি ৩.১৪২৮৫৭ ও  ৩.১৪০৮৪৫-এর মধ্যে বলেছিলেন। ১৭০৬ সালে গণিতবিদ উইলিয়াম জোনস বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত বোঝানোর জন্য গ্রিক অক্ষরের পাইয়ের চিহ্ন (π) ব্যবহার করেন। সিনোপসিস পালমারিওরাম ম্যাথেসিওসে নামের থিসিসে এই চিহ্ন ব্যবহার করেন তিনি।

পাই একটি বৃত্তের পরিধি ও তার ব্যাসের অনুপাত উপস্থাপন করে থাকে। বিভিন্ন গাণিতিক ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাইয়ের বহুমাত্রিক প্রয়োগ দেখা যায়। পাইয়ের মান পুনরাবৃত্তিহীন ও অসীম প্রকৃতির। আর তাই কয়েক শতাব্দী ধরে পাইয়ের চমক বিজ্ঞানীদের মুগ্ধ করেছে। ব্যাবিলন ও মিসরীয় সভ্যতায় পাইকে বিভিন্ন মাত্রার নির্ভুলতার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। নির্ভুলতার সঙ্গে পাইয়ের মান অনুসন্ধানের ধারা এখনো চলছে।

সূত্র: গ্রিক রিপোর্টার ডটকম

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ