Prothomalo:
2025-11-03@20:39:12 GMT

পাই দিবস আজ

Published: 14th, March 2025 GMT

গণিতে যে কয়টা ধ্রুবক মান রয়েছে, তার মধ্যে বহুল ব্যবহৃত ও উল্লেখযোগ্য হলো পাই–এর মান। এই মান ৩.১৪১৫৯২৬৫৩৫৮৯৭৯...। আর এভাবেই চলতে থাকে রহস্যময় সংখ্যাটি। এর শেষ কোথায়, তা কেউ বলতে পারে না। অদ্ভুত সুন্দর ও অমীমাংসিত রহস্যময় পাই নিয়ে আজও গবেষণা চলছেই। আর তাই প্রতিবছর ১৪ মার্চ সারা বিশ্বের গণিত ও বিজ্ঞানে উত্সাহী ব্যক্তিরা বিশ্বব্যাপী পাই দিবস উদ্‌যাপন করে থাকেন।

পাই–এর মান ৩.

১৪১৫৯২৬৫৩৫৮৯৭৯...। মার্চ মাসের ১৪ তারিখকে ৩/১৪ আকারে প্রকাশ করা যায় বলে ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর আজকের দিনটিতে পাই দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। ২০১৯ সালে ইউনেস্কো পাই দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে উদ্‌যাপন শুরু করে।

আরও পড়ুনপাইয়ের মানে নতুন বিশ্ব রেকর্ড১৮ মার্চ ২০২৪

পাইয়ের প্রথম নির্ভুল গণনা করা হয় ২৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। বিখ্যাত গণিতবিদ আর্কিমিডিস এই মান গণনা করেন। আর্কিমিডিস পিথাগোরাসের উপপাদ্য ব্যবহারে করে সংখ্যাটি ৩.১৪২৮৫৭ ও  ৩.১৪০৮৪৫-এর মধ্যে বলেছিলেন। ১৭০৬ সালে গণিতবিদ উইলিয়াম জোনস বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত বোঝানোর জন্য গ্রিক অক্ষরের পাইয়ের চিহ্ন (π) ব্যবহার করেন। সিনোপসিস পালমারিওরাম ম্যাথেসিওসে নামের থিসিসে এই চিহ্ন ব্যবহার করেন তিনি।

পাই একটি বৃত্তের পরিধি ও তার ব্যাসের অনুপাত উপস্থাপন করে থাকে। বিভিন্ন গাণিতিক ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাইয়ের বহুমাত্রিক প্রয়োগ দেখা যায়। পাইয়ের মান পুনরাবৃত্তিহীন ও অসীম প্রকৃতির। আর তাই কয়েক শতাব্দী ধরে পাইয়ের চমক বিজ্ঞানীদের মুগ্ধ করেছে। ব্যাবিলন ও মিসরীয় সভ্যতায় পাইকে বিভিন্ন মাত্রার নির্ভুলতার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। নির্ভুলতার সঙ্গে পাইয়ের মান অনুসন্ধানের ধারা এখনো চলছে।

সূত্র: গ্রিক রিপোর্টার ডটকম

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ