বাজেট বরাদ্দে জবি আগের তুলনায় অগ্রাধিকার পাবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
Published: 14th, March 2025 GMT
বাজেট বরাদ্দে পূর্বের তুলনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ এস এম ফায়েজ। আজ শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, এখন অনেক ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে সরকার সময় পার করছে। তারপরও যতটুকু সম্ভব আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রদের কল্যাণে যা কিছু করার তাই আমরা করবো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কষ্ট আমরা বুঝি। জগন্নাথের ছেলে ও মেয়ে উভয়েই অনেক স্ট্রাগল করে।
চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা উল্লেখ করে ড.
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল বিহীন কষ্টে পড়াশোনা করে। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ চলছে। আমরা আশা করব ইউজিসি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে সুদৃষ্টি দেবে। সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমীন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, জবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’