ট্রুডোর পদত্যাগ, শপথ নিলেন মার্ক কার্নি
Published: 14th, March 2025 GMT
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মার্ক কার্নি। শুক্রবার কার্নির সঙ্গে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও কাল শপথ নেন। খবর বিবিসির।
অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নি কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান। তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। কানাডায় গত রোববার সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই করা হয়। এতে কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সোমবার অটোয়ায় জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, ক্ষমতা হস্তান্তর নির্বিঘ্ন ও দ্রুত হবে।
মার্ক কার্নি শপথ গ্রহণের আগে গভর্নর জেনারেল ম্যারি সাইমনের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। জনমত জরিপে দলের খারাপ অবস্থা উঠে আসার পর তিনি দায়িত্ব ছাড়তে চাপে ছিলেন। সে সময় থেকেই দেশের নেতৃত্ব কার হাতে যাবে, তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তুলনামূলক কম বয়সে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাক লাগিয়ে দেন ট্রুডো। তিনি গড়ে তোলেন লিঙ্গসমতাভিত্তিক মন্ত্রিসভা। নিজেকে পরিচিত করে তোলেন নারীবাদী, পরিবেশবাদী এবং শরণার্থী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকারকর্মী হিসেবে। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমছিল। বিশেষ করে আবাসন সংকট এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে চাপের মুখে পড়েছিলেন ট্রুডো। গত সেপ্টেম্বরে তাঁর ক্ষমতা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। পদত্যাগের জন্য বিরোধীদের পাশাপাশি নিজ দলের মধ্য থেকে চাপ বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে কার্নির ভাবমূর্তি বাড়তে থাকে।
দেশটিতে ‘নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুত’ পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উদারপন্থি নেতা ৫৯ বছর বয়সী মার্ক কার্নি। তিনি রাজনীতিতে নবীন। নির্বাচনে জয়ী হয়ে কার্নি বলেন, ‘কানাডার জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ সময়।’ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার আত্মবিশ্বাস দেখান তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদত য গ
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫