হবিগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ মানহীন দেখিয়ে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে মেডিকেল কলেজটির শিক্ষার্থীরা শহরের প্রধান সড়কে (হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সামনে) এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে তাঁদের দাবির কথা তুলে ধরেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মো.

আবু হাসান, ইয়াসিন মনির, সাকিব মাহমুদ, রিয়েল সরকার, জোবায়ের আহমেদ, আনিসুর রিয়াজ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের স্থান নির্ধারণ করা হয় আট বছর আগে। একটি মেডিকেল কলেজ পরিচালনার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী বা যে অবকাঠামো প্রয়োজন, সবই আছে এই মেডিকেল কলেজের। স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য তাঁরা শুরু থেকে দাবি জানিয়ে আসছেন। বিগত সরকারের ব্যর্থতায় কলেজটি এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস পায়নি। সে দায় এ কলেজের নয়। কিন্তু এখন হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজকে মানহীন কলেজ দেখিয়ে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তা কিছুতেই কলেজের শিক্ষার্থীরা মেনে নেবেন না।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে মেডিকেল কলেজের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবুল হাসান বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, দেশের ২৬টি মেডিকেল কলেজকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মানহীন দেখিয়ে পাশের অন্য মেডিকেল কলেজের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। সেই ২৬টি কলেজের মধ্যে হবিগঞ্জ কলেজকে অন্যত্র সরানোর ষড়যন্ত্র চলছে। একজন দক্ষ চিকিৎসক তৈরির জন্য প্রথমেই প্রয়োজন দক্ষ শিক্ষক, প্রয়োজনীয় মেডিকেল যন্ত্রপাতি এবং হাতে–কলমে শেখার জন্য প্রয়োজনীয় রোগী ও পযাপ্ত রোগী। এর সবই আছে এ মেডিকেল কলেজের। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০০ জন। শিক্ষক আছেন ৫৫ জন। প্রতি ৬ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন দক্ষ শিক্ষক আছেন।’

আবুল হাসান আরও বলেন, এ কলেজ থেকে দুটি ব্যাচে ডাক্তারি পড়াশোনা শেষ করে বের হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী। তাঁদের শিক্ষার ফল খুবই মানসম্পন্ন। হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ভবনে মেডিকেল কলেজটির অস্থায়ী ক্যাম্পাস থাকায় প্রতিদিন হাসপাতালে আসা সহস্রাধিক রোগীকে কলেজের শিক্ষার্থীরা সেবা দিয়ে আসছেন। এতে হবিগঞ্জ জেলার ৩০ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার নির্ভরতা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় এই মেডিকেল কলেজকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া বা অন্য কোনো কলেজের সঙ্গে যুক্ত করার যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা এ কলেজের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না।

হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এ কলেজে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার কয়েকটি কক্ষ নিয়ে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কল জ র শ ক ষ র থ ম ড ক ল কল জ র কল জ র স এ কল জ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি মাসের ১৫ দিনে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু

দেশে আজ রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তি একজন পুরুষ। তাঁর বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ঢাকায় সরকারি একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে দেশে ৫ জুন একজন ও ১৩ জুন ২ জনের মৃত্যু হয়। শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০৩।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১ জনের কাছ থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৬টি নমুনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩।

একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন চারজন। তাঁদের নিয়ে এ পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০-এ দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুনসরকারি হিসাবের চেয়ে করোনায় মৃত্যু ছিল বেশি ১০ ঘণ্টা আগে

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। করোনায় প্রথম মৃত্যুর কথা জানা যায় ওই বছরের ১৮ মার্চ। এর তিন বছর পর ২০২৩ সালের মে মাসে করোনার কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন জেএন.১-এ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। দ্রুত ছড়ানোর কারণে জেএন.১-কে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটিই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভেরিয়েন্টের উপধরন।

আরও পড়ুনকরোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ দফা নির্দেশনা১১ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আটক ২ নেতা, পরে ছাড়া পেলেন একজন
  • আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
  • প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
  • খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প
  • খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প
  • সাংবাদিক পরিচয়ে গেস্ট হাউসের কক্ষে কক্ষে তল্লাশি, দম্পতির কাছে বিয়ের প্রমাণ দাবি
  • ডেঙ্গু-করোনায় দুই মৃত্যু, আক্রান্ত ২৭৫ জন
  • চলতি মাসের ১৫ দিনে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু
  • আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
  • ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের কফিনে শেষ পেরেক: প্রেস সচিব