প্রবাসীদের এনআইডি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের নির্দেশ
Published: 16th, March 2025 GMT
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটির সচিব আখতার আহমেদ ইতোমধ্যে এনআইডি শাখার পরিচালককে (প্রবাসী) নির্দেশনাটি দিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন আবেদন নিষ্পত্তি ও সহজীকরণের বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন যথাসময়ে উপস্থাপন করতে হবে। একইসঙ্গে প্রবাসী ভোটারদের আবেদন নিষ্পত্তির সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মিশন অফিসসমূহের সাথে সমন্বয় করতে হবে।
বর্তমানে ৯টি দেশে এনআইডি কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইসি। এতে ১০ হাজারের মতো নাগরিকের এনআইডি সরবরাহ করেছে। ভবিষ্যতে ৪০টি দেশে এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
ঢাকা/হাসান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ