সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের পল্লীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পুলিশের ব্যবহৃত কিছু পোশাক উদ্ধার হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় পোশাক দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ পোশাক উদ্ধার করে। উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের কারেন্টের বাজার সংলগ্ন ফেকুল মাহমুদপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের পেছনে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব পোশাক পাওয়া যায়। 

পোশাকের মধ্যে ছিল- শীতের জ্যাকেট একটি, ফুল হাতা ইউনিফর্ম দুইটি (সিলেট রেঞ্জের ডিজাইন রয়েছে), হাফ হাতা ইউনিফর্ম তিনটি, ফিল্ড ক্যাপ দুইটি, ব্যারেট ক্যাপ টারটি, পুলিশ ক্যাপের মনোগ্রাম দুইটি, বেল্ট দুটি, ফুল প্যান্ট দুটি, লেনিয়ার্ড চারটি (একটি সাদা ও তিনটি কালো), টাউজার একটি, মোজা এক জোড়া ও হাফ প্যান্ট একটি। পুলিশের পোশাক এভাবে পাওয়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। 

ইউপি সদস্য ইছব আলী বলেন, কারা পোশাকগুলো ফেলে গেছে তা জানি না। তবে কয়েকদিন ধরে এ এলাকায় ডাকাতের আনাগোনা দেখা গেছে। তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে ডাকাতি করার অপচেষ্টা হতে পারে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ উল্লাহ জানান, সপ্তাহ খানেক আগে একটি ডাকাতদল হানা দেওয়ার খবরে এলাকায় মাইকিং করা হয়। সেজন্য হয়তো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি, সম্ভবত এটা তাদেরই কাজ। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ