পুতিনের সঙ্গে মঙ্গলবার সরাসরি কথা বলবো: ট্রাম্প
Published: 17th, March 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা করবেন।
সোমবার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রবিবার (১৬ মার্চ) ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমরা দেখতে চাই যে, আমরা সেই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারি কিনা। হয়তো আমরা পারব, হয়তো আমরা পারব না। তবে আমার মনে হয় আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে।”
আরো পড়ুন:
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা চলতি সপ্তাহে
ট্রাম্পের অনুরোধের পর ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান পুতিনের
গত সপ্তাহে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কাছে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠিয়েছিল ওয়াশিংটন। ইউক্রেন প্রস্তাব মানলেও তাতে পাল্টা শর্ত আরোপ করেন পুতিন। তিনি যুদ্ধবিরতির জন্য কিছু বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন।
গত শুক্রবার ক্রেমলিন জানায়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ট্রাম্পের বিশেষ দূতের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সম্পর্কে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে আলাপ হবে।
এরপর স্থানীয় সময় রবিবার (১৭) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানালেন, তিনি মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিফোনে কথা বলবেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চল সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ভূমি নিয়ে কথা বলব। আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কথা বলব। আমি মনে করি এর অনেক বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয় পক্ষই আলোচনা করেছে। আমরা ইতিমধ্যেই কিছু সম্পদ ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছি।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’