বরগুনায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার ও মামলার বাদী (শিক্ষার্থীর বাবা) খুনের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের চিকিৎসা, শিক্ষা ও দৈনন্দিন সকল খরচের দায়িত্ব নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ সোমবার সকাল ১০টায় শহরের টাউন হল মাঠে আয়োজিত এক পথ-সভায় এ ঘোষণা দেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির বলেন, আমাদের একটি বন্ধু সংগঠনের নেতা পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও তাদের সঙ্গে থেকে এ পরিবারটির আইনিসহ সকল প্রকার সহযোগিতা করতে চাই। এ সময় মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে নিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনিসহ দলের নেতাকর্মীরা নিহত মন্টু দাসের বাড়িতে যান। সেখানে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন বিএনপির এই সাবেক সাংসদ। তার আগে রোববার সন্ধ্যায় নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি মোবাইল ফোনে কথা বলে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারেক রহমান।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ বরগুনায় মেয়ে ধর্ষণ মামলার তারিখের আগের রাতে বাবা (মামলার বাদী) মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ মামলার আসামির আত্মীয়রা হত্যা করেছে মন্টু দাসকে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ড শ ফ ক র রহম ন বরগ ন পর ব র র

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি কার্যালয়ে মাইক্রোসফট টিমসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করছে জার্মানির একটি স্টেট, কেন

সরকারি কার্যালয়ে মাইক্রোসফটের টিমসসহ বেশ কয়েকটি সফটওয়্যারের ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় শেলসভিগ-হোলস্টেইন স্টেট। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে আগামী তিন মাস পর পুলিশ, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের অধিকাংশ কর্মকর্তা মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করতে পারবেন না। তথ্য সংরক্ষণে বিদেশি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তুলতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

স্টেট গভর্নমেন্টের ডিজিটাল রূপান্তরবিষয়ক মন্ত্রী ডির্ক শ্রোয়েডটার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা তথ্যের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চাই। এ জন্যই মাইক্রোসফট টিমসের ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছি।’ নতুন সিদ্ধান্তের আওতায় প্রাথমিকভাবে শেলসভিগ-হোলস্টেইন স্টেটের ৬০ হাজার সরকারি কর্মচারীর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী এই পরিবর্তনের আওতায় আসবেন। পরবর্তী ধাপে আরও প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষককে একই ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

স্টেট গভর্নমেন্ট ২০২৪ সাল থেকেই ধাপে ধাপে মাইক্রোসফটের সফটওয়্যার ব্যবহারের বিকল্প খুঁজে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে অফিস ব্যবস্থাপনায় মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও এক্সেলের পরিবর্তে ‘লিব্রে অফিস’ এবং ই–মেইল ও ক্যালেন্ডার ব্যবস্থাপনায় ‘মাইক্রোসফট আউটলুক’–এর জায়গায় ‘ওপেন-এক্সচেঞ্জ’ ব্যবহার শুরু হয়েছে।

পরবর্তী ধাপে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বাদ দিয়ে একটি লিনাক্সভিত্তিক বিকল্প চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। ডির্ক শ্রোয়েডটার জানান, ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইউরোপজুড়ে জ্বালানিনির্ভরতা নিয়ে যেমন সচেতনতা তৈরি হয়েছে, তেমনি ডিজিটাল নিরাপত্তা ও তথ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়েও নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। তার ভাষায়, ‘এই যুদ্ধ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, আমরা শুধু জ্বালানিতেই নয়, তথ্যপ্রযুক্তিতেও কতটা নির্ভরশীল। এখন সময় এসেছে এসব নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার।’ স্টেট গভর্নমেন্ট জানিয়েছে, মাইক্রোসফটের নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনো ক্লাউড সেবার বদলে জার্মানির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ক্লাউড প্ল্যাটফর্মেই তারা সরকারি তথ্য সংরক্ষণ করবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর ইউরোপের নির্ভরতা নিয়ে কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক চলছে। বিশেষত মাইক্রোসফটের বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি প্রতিযোগিতাবিষয়ক তদন্ত শুরু করে। অভিযোগ ছিল, মাইক্রোসফট তাদের ব্যবসায়িক অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে টিমস সফটওয়্যার বান্ডিল করে বিক্রি করে, যা বাজারে প্রতিযোগিতার সুযোগ কমিয়ে দেয়। ডির্ক শ্রোয়েডটার বলেন, ‘শেলসভিগ-হোলস্টেইনের নেওয়া এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে।’

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ