সেই মন্টু দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন জামায়াত আমির
Published: 17th, March 2025 GMT
বরগুনায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার ও মামলার বাদী (শিক্ষার্থীর বাবা) খুনের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের চিকিৎসা, শিক্ষা ও দৈনন্দিন সকল খরচের দায়িত্ব নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ সোমবার সকাল ১০টায় শহরের টাউন হল মাঠে আয়োজিত এক পথ-সভায় এ ঘোষণা দেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির বলেন, আমাদের একটি বন্ধু সংগঠনের নেতা পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও তাদের সঙ্গে থেকে এ পরিবারটির আইনিসহ সকল প্রকার সহযোগিতা করতে চাই। এ সময় মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে নিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনিসহ দলের নেতাকর্মীরা নিহত মন্টু দাসের বাড়িতে যান। সেখানে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন বিএনপির এই সাবেক সাংসদ। তার আগে রোববার সন্ধ্যায় নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি মোবাইল ফোনে কথা বলে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারেক রহমান।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ বরগুনায় মেয়ে ধর্ষণ মামলার তারিখের আগের রাতে বাবা (মামলার বাদী) মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ মামলার আসামির আত্মীয়রা হত্যা করেছে মন্টু দাসকে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ড শ ফ ক র রহম ন বরগ ন পর ব র র
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ