বিএনপিকে আবারও মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে: তারেক রহমান
Published: 17th, March 2025 GMT
এক-এগারোর মতো বিএনপিকে আবারও মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টদের সম্মানে এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব বলেন। বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে ৩১ দফার উপরে একটি ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একটি মহল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ১/১১-এর সময় যেভাবে বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হয়েছিল সেভাবেই তারা তাদের মদদপুষ্ট মিডিয়া দ্বারা ঠিক একইভাবে এরকম একটি প্রেক্ষাপট তৈরির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আগামীতে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে যেখানে দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করছেন ততবেশি মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে। সোমবার সকালেও বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় কিছু ঘটনা দেখলাম। দেখার পরে কেন্দ্রীয় অফিসে (নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়) যখন খবর নিলাম- তারা আমাকে জানালো, ঘটনা ঘটেছে একরকম পত্রিকায় উপস্থাপন করা হয়েছে আরেক রকমভাবে।
অনলাইন এক্টিভিস্টদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যখন থেকে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রের ঘাড়ে স্বৈরাচার চেপে বসেছিল, তখন থেকে আপনারা সংগঠিত হয়ে জনগণ ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের কথা তুলে ধরেছেন। যুদ্ধ করেছেন। যার কারণে আপনাদেরকেও বিভিন্ন অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। যে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আপনারা এসেছেন তার জন্য আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে সংস্কার বলতে অথবা মানুষের অথবা দেশের জন্য ভালো কিছু করলে সেটা স্বাস্থ্য খাত বলুন, শিক্ষা খাত বলুন, কৃষি খাত বলুন, খাদ্য উৎপাদন বলুন, শিক্ষা খাত বলুন, বেকার কর্মসংস্থান বলুন, বিদেশে কর্মসংস্থান বলুন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ বলুন আমরা যেভাবে যেটি বলি না কেনো প্রত্যেকটির ফ্যাক্ট অ্যান্ড ফিগার ডাটা দিয়ে প্রমাণ করে দিয়ে দেয়া যাবে যে, বিএনপি যতবার জনগণের সমর্থনে দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে ততবারই সবচাইতে বেশি অবদান রেখেছে, রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, হতে পারে আরও কিছু করার হয়ত আমাদের ছিল। আমরা করতে পারিনি। সেটি আমাদের সীমাবদ্ধতা। এই মুহূর্ত পর্যন্ত যে সেক্টরগুলোর উন্নতি হলে জনগণের ভাগ্যের উন্নতি হয়, দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, দেশকে এগিয়ে যাওয়া বলে এরকম প্রত্যেকটি কাজ সবচাইতে বেশি করেছে বিএনপি।
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে আমাদেরকে নতুন করে সেই যুদ্ধ করতে হবে। ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে আমাদের যোদ্ধারা পারবেন এই যুদ্ধে জয়ী হতে এই বিশ্বাস আমার আছে।
জাতীয়তাবাদী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টিদের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক সৈয়দ মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদি আমিন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের মধ্যে ওয়াহিদ উন নবী, রেজাউনুল হক শোভন, নাসিফ ওয়াহিদ ফয়জাল, মোস্তফা কামাল পলাশ, ইয়াসীন মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন ষড়যন ত র খ ত বল ন ব এনপ র ব এনপ ক আম দ র ন বল ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে