রোহিঙ্গাদের তথ্য ভাগাভাগি হবে ইসির সঙ্গে
Published: 19th, March 2025 GMT
নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের তথ্য–উপাত্ত (ডেটা) ভাগাভাগি করার বিষয়ে একমত হয়েছে। কীভাবে, কোথায়, কখন এসব তথ্য ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে আরও আলোচনা হবে।
আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন এনাইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মহাপরিচালক বলেন, কীভাবে ইসি ডেটা পেতে পারে, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি কারিগরি দল গঠন করা হয়েছে। সেখানে ইসি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি থাকছেন। সার্ভার কার কাছে থাকবে, এটি এখনো ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, যত দ্রুত রোহিঙ্গাদের ডেটা পাওয়া যাবে, ইসির তত সুবিধা হবে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে তখন আর কষ্ট হবে না। এ ছাড়া ইউএনএইচসিআরের ডেটার সঙ্গে মিলিয়ে দেখে যাদের শনাক্ত করা হবে তাদের এনআইডি ‘লক’ করে দেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ