৯ মাস পর পৃথিবীতে সুনিতারা, শুভেচ্ছা জানিয়ে কী লিখলেন তারকারা
Published: 19th, March 2025 GMT
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) দীর্ঘ ৯ মাস কাটিয়ে অবশেষে পৃথিবীতে ফিরতে সক্ষম হলেন দুই বিশিষ্ট মার্কিন নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস। গত বছরের ৬ জুন এক সপ্তাহের মিশনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান বুচ ও সুনিতা; কিন্তু বোয়িংয়ের যে ক্যাপসুলে তাঁরা যান, সেই ‘স্টারলাইনারে’ ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এবং নিরাপত্তার কারণে তাঁদের সময়মতো পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায়নি।
বুচ ও সুনিতা গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ৫ মিনিটে (জিএমটি ৫টা ৫ মিনিট) মহাকাশ স্টেশন থেকে পৃথিবীতে রওনা দেন। ‘নাসা ক্রু–৯ মিশন’–এর অংশ হিসেবে ক্রু ড্রাগনে ফিরতি যাত্রা শুরু করার ১৭ ঘণ্টা পর এই চার নভোচারী পৃথিবীর আকাশমণ্ডলে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশ সময় গতকাল দিবাগত রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে তাঁদের বহনকারী ক্যাপসুলটি বিশেষ প্যারাস্যুটের সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূল থেকে প্রায় ৫০ মাইল দূরে সমুদ্রে নেমে আসে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে সুস্থভাবে পৃথিবীতে ফিরে এলেন দুই মহাকাশচারী। সুনিতাকে অভিনন্দন জানিয়ে কী বললেন বলিউড তারকারা?
মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে আসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমাজ মাধ্যমে সুনিতার ছবি ভাগ করে দক্ষিণি ও বলিউড তারকা আর মাধবন লেখেন, ‘প্রিয় সুনিতা উইলিয়ামস, পৃথিবীতে আপনাকে স্বাগত। ঈশ্বর আমাদের প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন। আপনি যে নিরাপদে আছেন, সুস্থ আছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে। ২৬০ দিনের বেশি সময় ধরে আপনি মহাকাশে ছিলেন, অসাধারণ একটি সফর শেষ হলো। আপনার এবং বাকি মহাকাশচারীদের মঙ্গল করুন প্রভু।’
আর মাধবনের পাশাপাশি দক্ষিণি অভিনেতা চিরঞ্জীবী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘পৃথিবীতে আপনাকে আরও একবার স্বাগত। একেই বলে নায়কের মতো প্রত্যাবর্তন। আট দিনের জন্য মহাকাশে গিয়ে ফিরে এলেন ২৮৬ দিন পর। এই ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্যে যেমন নাটকীয়তা আছে, তেমনই আছে রহস্য। সত্যিই অসাধারণ।’
সুনিতাদের মহাকাশ অবতরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে নিয়ে জ্যাকি শ্রফ মহাকাশচারীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সুনিতার দক্ষতার প্রশংসা করে রাকুলপ্রীত সিং লিখেছেন, ‘তুমি সত্যি নতুন ইতিহাস তৈরি করলে। তোমাকে নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত। অনেক শুভেচ্ছা। এভাবে আমাদের অনুপ্রাণিত দিয়ে যাও।’
অভিনেত্রী মানুষি চিল্লার লিখেছেন, ‘ এই সফলতার পেছনে একদিকে যেমন রয়েছে উন্নত বিজ্ঞান, তেমন রয়েছে তোমাদের কঠিন সময় ধৈর্য রাখার অসম্ভব ক্ষমতা। তোমার মতো নারীরা আমাদের অনুপ্রাণিত করলেন আরও একবার।’ সুনিতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আরও স্ট্যাটাস দিয়েছেন কারিশমা কাপুর সোনু সুদ, রবি কিষান প্রমুখ।
সুনিতার বয়স ৫৯ বছর। বুচের ৬২ বছর। তাঁরা দুজনই শুরুতে মার্কিন নৌবাহিনীর পরীক্ষামূলক নতুন যান চালানোর পাইলট ছিলেন। পরে নাসায় যোগ দেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।