Prothomalo:
2025-04-30@22:31:01 GMT

অবশেষে সাকিবের মুক্তি

Published: 20th, March 2025 GMT

অবশেষে একটা ভালো খবর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। তাঁর একটা মুক্তির খবর। যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই সাকিবের আর বোলিং করতে বাধা নেই। সাকিবকে অবৈধ বোলিং অ‍্যাকশনের দায় থেকে মুক্তি দিয়েছে ইংল‍্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার রিপোর্ট।

গত বছর সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টির ম‍্যাচে বোলিং অ‍্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর ইসিবি যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে সাকিবের বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর বার্মিংহামের অনতিদূরের এই লাফবোরোর ল‍্যাবেই প্রথম পরীক্ষা দেন সাকিব এবং অকৃতকার্য হন। চেন্নাইয়ের পরের পরীক্ষায়ও সুসংবাদ পাননি তিনি, যেটা পেলেন এবার লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল‍্যাবে ফিরে গিয়ে।

সাকিবের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল‍্যাবে তাঁর সর্বশেষ পরীক্ষাটি হয়েছে গত ৯ মার্চ, যার ফলাফল সাকিব জেনেছেন গতকাল। তাঁর বোলিং ‌‍অ‍্যাকশন এখন বৈধ। পরীক্ষায় সাকিব মোট ২২টি ডেলিভারি দিয়েছেন, যার প্রায় সবই ত্রুটিমুক্ত। এক-দুটি ডেলিভারিতে সামান্য সমস্যা থাকলেও তা ধর্তব‍্যের মধ্যে আনেননি লাফবোরোর বিশেষজ্ঞরা।

সমারসেট–সারে ম্যাচে বোলিং করছেন সাকিব। এই ম্যাচেই প্রশ্ন উঠেছে তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ য কশন

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।

হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।

আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’

গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ