২১ কোটি টাকা ঘুষের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
Published: 20th, March 2025 GMT
বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলমসহ আটজন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আবু তাহের আদালতে উপস্থিত দুই আসামি সালিমুল হক ও আবু সুফিয়ানের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন, শাহ আলমের দুই ছেলে শাফিয়াত সোবহান সানভির ও সাদাত সোবহান, তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সচিব মিয়া নূর উদ্দিন অপু, বিএনপির সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল এবং বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক আবু সুফিয়ান।
রায়ে আদালত বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের খালাস দেওয়া হলো। বিচারক তাঁর পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ (ঘটনাস্থল বা তারিখ) প্রমাণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির খুন হলে একটি হত্যা মামলা হয়। ওই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক আবুল কাসেম রাজধানীর রমনা থানায় একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। তবে ২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল তারেকসহ আট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
এর পর ওই বছরের ১৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগও গঠন করা হয়। এ পর্যায়ে তারেক রহমানসহ চারজন হাইকোর্টে ওই মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। তারেক ছাড়া অন্যরা হলেন- সাবেক চারদলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল। পরে মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০০৬ সালে হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
প্রসঙ্গত, তারেক রহমান জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হলেও ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ‘চিকিৎসার জন্য’ যুক্তরাজ্যে যান। এর পর থেকে পরিবার নিয়ে তিনি সেখানেই আছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাঁতরে ইংলিশ চ্যানেল জয় করলেন নাজমুল হক
দীর্ঘ ৩৭ বছর পর আবারো ইংলিশ চ্যানেল জয় করলেন কোনো বাংলাদেশি। এবার বাংলাদেশের সাঁতারু নাজমুল হক হিমেল পার করেছেন এ দুঃসাহসিক চ্যালেঞ্জ। যুক্তরাজ্যের সময় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৩টায় গলায় পরেন ইংলিশ চ্যানেল জয়ের মালা।
ইংলিশ চ্যানেল হলো যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যবর্তী সমুদ্রপ্রণালী। এই প্রণালীর দূরত্ব ৩৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার। এটি সাঁতরে পাড়ি দিয়েছেন নাজমুল হক হিমেল। ১৯৮৭ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন আরেক বাংলাদেশি মোশাররফ হোসেন।
বিজয়ের অনুভূতি শেয়ার করে নাজমুল হক হিমেল বলেন, ‘‘আমি সত্যিই অনেক অনেক আপ্লুত। এ অনূভুতি বোঝানোর ভাষা ঠিক এই মুহূর্তে আমার কাছে নেই। ছোট একটা মেডেল কিন্তু এর ওজন এত ‘ভারী’ যা আমার অনূভুতির বাইরে।’’
১৯৯৭ সালে কিশোরগঞ্জের নিকলি হাওরে বাবা আবুল হাসেমের হাত ধরে সাঁতারে হাতেখড়ি হিমেলের। বাবা আবুল হাসেমও ছিলেন আশির দশকের জাতীয় সাঁতারু। পুকুর-হাওর পেরিয়ে নাজমুল ধীরে ধীরে উঠেছেন জাতীয় পর্যায়ে।
২০০৮ সালে বিকেএসপি থেকে এইচএসসি পাস করে হিমেল পাড়ি জমান চীনে। বেইজিং স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি থেকে শারীরিক শিক্ষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১২ সালে অল বেইজিং ইন্টারন্যাশনাল ফরেন স্টুডেন্টস সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন হন। সেখানে দীর্ঘদিন কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
জাতীয় পর্যায়ে নাজমুল জিতেছেন বেশকিছু পদক। বয়সভিত্তিক সাঁতারে তার ঝুলিতে আছে ২০টি স্বর্ণ ও ১৫টি রৌপ্য। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অর্জন করেছেন আরও পাঁচটি সোনা ও চারটি রূপা। এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যায় নয়, এগুলো একেকটি অধ্যায়, একেকটি লড়াইয়ের গল্প।
ঢাকা/হাসান/বকুল