নারায়ণগঞ্জ ডিসির বাংলোর সামনে ছিনতাইয়ের শিকার দম্পতি
Published: 20th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারে ট্রেন স্টেশনে যাওয়ার পথে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন এক দম্পতি।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ ) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে নগরীর খানপুরে ডিসির বাংলো সংলগ্ন সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া কিল্লারপুলস্থ ডিপিডিসির অফিসের কর্মচারী মো. সজিব মিয়া বলেন, “গ্রামের বাড়ি জামালপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্ত্রী-সন্তানসহ রওনা দিয়েছিলাম কমলাপুরে। সেখান থেকে ট্রেনে জামালপুরে যাওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। তবে নারায়ণগঞ্জের ট্রেন স্টেশনে যাওয়ার পথে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমাদের বহনকারী অটোরিকশাটি থামায় মোটরসাইকেলে করে আসা তিন ব্যক্তি। তাদের হাতে বড় আকারের দুটি ধারালো ছুরি ছিল। ছিনতাইকারীরা ছুরি দেখিয়ে আমার সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ দুই হাজার টাকা, আমার স্ত্রীর কানের দুল ও আংটিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এখানে পুলিশের নজরদারী কম থাকে। এর আগেও এখানে ছিনতাই হয়েছে। তবে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে ছিনতাইকারীরা এ স্থানটিকে তাদের ছিনতাইয়ের জন্যে বেছে নেয়।”
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির আহমদ বলেন, “বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে আমাদের টহল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।”
ঢাকা/অনিক/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব