কালিয়াকৈরে ডাকাতের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত, দুইজনকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ
Published: 20th, March 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ডাকাতের হামলায় সজিব হোসেন (৩৮) নামে এক মাটি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জামালপুর-বড়ইবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের হাটুরিয়াচালা এলাকার এ ঘটনায় আহত হয়েছেন রয়েল হোসেন নামের এক যুবক। স্থানীয়রা ডাকাত দলের দুই সদস্যকে ধরে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছেন। তাদের নাম জানা যায়নি। নিহত সজীব কালিয়াকৈরের গাবচালা গ্রামের মুক্তার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে গাবচালা এলাকা থেকে হাটুরিয়াচালায় যাচ্ছিলেন সজিব ও রয়েল। পথে নির্জন এলাকায় সাত-আটজনের একদল ডাকাত তাদের অটোরিকশা থামিয়ে টাকাপয়সা লুটের চেষ্টা করলে সজিব বাধা দেন। এ সময় ডাকাত সদস্যরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। রয়েল দৌড়ে পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েন। সেখানে স্থানীয়দের ঘটনা জানালে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া দেন। এ সময় ডাকাত দলের দুই সদস্যকে ধরে পিটিয়ে পুলিশে খবর দেন তারা। সজিব ও রয়েলকে উদ্ধার করে সফিপুর মডার্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সজিবকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুই ডাকাতকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি সেলিম হোসেন বলেন, দুই ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। সজিব নামের একজন মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকে অভিযান চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী
গত মার্চে ৪৪২ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণ করা হয়েছে ১২৫ কন্যাসহ ১৬৩ জনকে। ১৮ কন্যাসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দুই কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। দুই কন্যা ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ৫৫ কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সাম্প্রতিক নারীর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ তথ্য জানান। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে মোট ১৮৯ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩০ কন্যাসহ ৪৮ জন। তার মধ্যে তিন কন্যাসহ ১১ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
জানুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২০৫ নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৩ কন্যাসহ ৪৯ জন। তার মধ্যে ১৪ কন্যাসহ ২০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাসহ দুইজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া দুইজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
মডারেটরের বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৫ নম্বর ধারা জেন্ডার সমতা। এটি উপেক্ষা করা কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়।
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারী আন্দোলনের অন্যতম দাবি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন, রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সংসদে এক-তৃতীয়াংশ আসন ও সরাসরি নির্বাচন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী।
পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে দুই হাজার ৫৪টি। এর আগে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে ১৩২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৯৯ কন্যাশিশু।