শিশুদের বিবস্ত্র করে আটকে রেখেছিল ইসরায়েলি বাহিনী
Published: 21st, March 2025 GMT
শিশুদেরও নির্যাতন থেকে রেহাই দিচ্ছে না ইসরায়েল। একটি শিশু অধিকার গোষ্ঠী অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে দাদীকে গুলি করে হত্যা করার পর দুই নাতিকে বিবস্ত্র, অপমানিত, আতঙ্কিত এবং আটক করেছে।
ডিফেন্স ফর চিলড্রেন - প্যালেস্টাইন (ডিসিআইপি) জানিয়েছে , ১০ মার্চ জেনিনের পশ্চিমে দাদা-দাদির বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল ইব্রাহিম আবু ঘালি (৭) এবং ওমর মোহাম্মদ দিরার জাবেন (১৩)। ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সময় ফজরের আজান শোনার পরে বাইরে যাওয়ার কারণে তাদের দাদি গুলিবিদ্ধ হয়।
এরপর ইসরায়েলি সেনারা তাদের দাদুর সাথে বন্দুকের মুখে দুই শিশুকে তাদের অন্তর্বাস খুলে ফেলতে বাধ্য করে। প্রায় নগ্ন অবস্থায়, তিনজনের হাত বেঁধে প্রায় এক ঘন্টা বাইরে ঠান্ডায় আটকে রাখা হয়। তারপর তাদের মেঝেতে অথবা সামরিক যানবাহনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। ওই সময়েও তারা বিবস্ত্র ছিল। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডিসিআইপির আয়েদ আবু একতাইশ বলেন, “শিশুদের বিবস্ত্র হতে বাধ্য করা, তাদের অবমাননাকর পরিস্থিতিতে আটকে রাখা ও তাদের মানসিক সন্ত্রাসের শিকার করা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এটি নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণের সমান।”
১২ ঘণ্টা আটক রাখার পরে শিশুদের তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময়েও শিশু দুটিকে শুধু অন্তর্বাস পরিয়ে রাখা হয়েছিল।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে নতুন কর্মসূচি
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। আগামী শুক্র ও শনিবার (১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর) গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং রবি ও সোমবার (২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর) জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অর্ধদিবস অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা এম এ সালাম নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এম এ সালাম বলেছেন, “বাগেরহাটের চারটি আসন অক্ষুণ্ন রাখার দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে, তবে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
এর আগে আসন কমানোর প্রতিবাদে জেলা জুড়ে হরতাল, বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে।
ঢাকা/শহিদুল/রফিক