Prothomalo:
2025-08-01@03:14:52 GMT

মুসা (আ.)-কে দেশ ছাড়ার পরামর্শ

Published: 21st, March 2025 GMT

আজ খতমে তারাবিহতে পবিত্র কোরআনের সুরা জুমারের ৩২ থেকে সুরা মুমিন ও সুরা হামিম সাজদার ১ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করা হবে। ২৪তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। আজকের তারাবিহতে তওবা, সামাজিক শিষ্টাচার, মুমিন ও কাফেরের শেষ পরিণতি, মৃত্যু, নিরাশা, হক বাতিল, মুমিন ব্যক্তি কর্তৃক ফেরাউনকে সতর্ক, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহকে চেনার উপায়, কোরআন হেদায়াত ও শেফা, মানুষের কল্যাণে চতুষ্পদ প্রাণী, কিয়ামত, হেদায়াত, ইমানদারের জন্য ফেরেশতাদের দোয়া, জাহান্নামিদের অবস্থা, মুসা ও ফেরাউনের ঘটনা, আল্লাহর অনুগ্রহ, মানুষের অকৃজ্ঞতা, কোরআনের মাহাত্ম্য ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।

আল্লাহর রহমত নিয়ে নৈরাশ্য নিষেধ

সুরা জুমারের ৫৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘বলো, হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের ওপর বাড়াবাড়ি করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা, ঘাত-প্রতিঘাত, বিপদ–আপদ আসবে। দুঃখকে একেবারে উপেক্ষা করে চলা যায় না। আল্লাহ নবী-রাসুলদেরও বিপদে ফেলেছেন। কষ্ট দিয়েছেন। পরীক্ষা করেছেন। তাঁরা ধৈর্য ধরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। মুমিন জীবনে দুঃখ-কষ্ট, হতাশা ও বেদনা এলে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। দুঃখ-কষ্ট আর বিপদে ধৈর্য ধারণ করা মুমিনের গুণ ও ইবাদত। কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। যারা আল্লাহর অবাধ্যতা করেছে, গুনাহে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছে, তাদেরও আল্লাহ তাঁর রহমত থেকে নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন।

আরও পড়ুননুহ নবীর (আ.

) নৌকা১৯ মার্চ ২০২৪

সুরা মুমিনে এক মুমিনের কাহিনি

মক্কায় অবতীর্ণ সুরা মুমিনের আয়াতের সংখ্যা ৮৫। এটি কোরআনের ৪০তম সুরা। ফেরাউনকে পথভ্রষ্টতা ছেড়ে আল্লাহর পথে আসার জন্য সতর্ক করেছিলেন এক ব্যক্তি, তাফসিরের কিতাবে তাকে ফেরাউনের চাচাতো ভাই বলেছেন কেউ কেউ। কোরআনে আল্লাহ তাঁকে ‘মুমিন’ বলেছেন, তাই এর নাম রাখা হয়েছে মুমিন। গাফিরও বলা হয় এ সুরাকে।

আল্লাহর চার গুণ

আল্লাহ তাআলার অগণিত গুণ রয়েছে। সুরা তওবার ৩ নম্বর আয়াতে চারটি গুণের উল্লেখ রয়েছে। যথা এক. আল্লাহ গুনাহ ক্ষমাকারী। দুই. তওবা কবুলকারী। তিন. কঠিন শাস্তি দানকারী ও চার. মানুষের ওপর করুণা ও অনুগ্রহকারী।

মুসা (আ.)-কে দেশ ছাড়ার পরামর্শ

মুসা (আ.)-এর সময়ে একজন আল্লাহ–বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন। যিনি ফেরাউনকে একত্ববাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। মুকাতিল, সুদ্দি, হাসান বসরি প্রমুখ তাফসিরবিদেরা বলেন, ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউনের চাচাতো ভাই ছিলেন। এক কিবতিকে হত্যার ঘটনায় যখন ফেরাউনের দরবারে মুসা (আ)-কে পাল্টা হত্যা করার শলাপরামর্শ চলছিল, তখন তিনিই মুসাকে শহর ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন) মুফতি তকি উসমানি বলেন, কোরআনে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর নাম ছিল শামআন।

আরও পড়ুনধ্বংস থেকে এক জাতির মুক্তির কাহিনি১৮ মার্চ ২০২৪

মুমিন ব্যক্তি দেখলেন, ফেরাউন আল্লাহর অবাধ্য। সে অহংকারী, অন্যায়-অবিচারে লিপ্ত। তখন তাকে দীনের পথে দাওয়াত দিলেন। আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন। মুসা (আ.)-এর ধর্ম মানার পরামর্শ দিলেন। কাজ হলো না। উপরন্তু ঠাট্টা-বিদ্রুপ করল ফেরাউন। সে উজির হামানকে বলল, একটা প্রাসাদ বানাও, সেখানে চড়ে আমি দেখব মুসার উপাসককে দেখা যায় কি না! ফেরাউনের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য তিনি গা করলেন না। মনে রাখলেন না। দাওয়াতের কাজ অব্যাহত রাখলেন। আসন্ন আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। ফেরাউন পাত্তা দিল না। আল্লাহর আজাব এল। ফেরাউন ও তার অনুসারীরা নদীতে ডুবে মারা পড়ল। বেঁচে গেল মুমিন ব্যক্তি। সুরা মুমিনের ২৩ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াতে এ ঘটনার বিবরণ রয়েছে।

 সুরা হামিম সাজদার বয়ান

কোরআনের ৪১তম সুরা হামিম সাজদা মক্কায় অবতীর্ণ। এর আয়াতের সংখ্যা ৫৪। এ সুরার আরেক নাম ফুসসিলাত। এ সুরায় আল্লাহর অনুগ্রহ, কোরআনের আলোচনা, মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আদ ও সামুদ জাতির ঘটনা, কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গই মানুষের পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষী দেওয়া, কিয়ামতের দিন অবিশ্বাসীদের অবস্থা, মুমিনদের পুরস্কার, আল্লাহকে চেনার উপায়, ধৈর্য ও ন্যায়ানুগ ফয়সালা, অহংকারী ও অস্বীকারকারীদের আলোচনা এবং আল্লাহর কাছে সম্মানিত ব্যক্তিদের বর্ণনা রয়েছে।

সুরা হামিম সাজদার ৩০ থেকে ৩২ নম্বর আয়াতে ইহকাল ও পরকালে ফেরেশতাদের বন্ধুদের কয়েকটি গুণের কথা বলা হয়েছে। তাদেরকে নির্ভয় ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে জান্নাতের। ফেরেশতাদের বন্ধুরা হলেন: এক. যারা আল্লাহকে পালনকর্তা বলে বিশ্বাস করে। দুই. এই কথার ওপর অবিচল থাকে।

আরও পড়ুনগনিমতের সম্পদ বণ্টননীতির বর্ণনা ও অবিশ্বাসীদের বৈশিষ্ট্য১৭ মার্চ ২০২৪

সত্য গ্রহণের জন্য মানুষকে চোখ-কান দেওয়া হয়েছে। যারা গ্রহণ করে, তারা সফল ব্যক্তি। এই সত্য গ্রহণ তাদের জীবনকে মহিমান্বিত করবে। আর অনেকে আছে, সত্য গ্রহণ করে না। সত্যের বাণী হৃদয় দিয়ে অনুভব করে না। এর ফলে তারা নিজেদের ইহকাল ও পরকালের ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয়। এ ক্ষতির জন্য আল্লাহ দায়ী নন। আল্লাহ কারও প্রতি অবিচার করেন না। মানুষই নিজেদের প্রতি অবিচার করে। আল্লাহ কারও ওপর এক অণু পরিমাণও জুলুম করেন না। যদি কেউ একটি সৎ কাজ করে, তাহলে আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ করে দেন এবং নিজের পক্ষ থেকে তাকে মহাপুরস্কার দান করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে সৎ কর্ম করে, সে নিজের উপকারের জন্যই করে, আর যে অসৎ কর্ম করে, তা তার ওপরই বর্তাবে। আপনার পালনকর্তা বান্দাদের প্রতি মোটেই জুলুম করেন না।’ (সুরা হামিম সাজদা, আয়াত: ৪৬)

রায়হান রাশেদ: লেখক ও আলেম

আরও পড়ুনপ্রাচীন ৬ জাতি ধ্বংসের কাহিনি১৬ মার্চ ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আল ল হ ত ক রআন র র রহমত র আয় ত র জন য গ রহণ র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

বাথুয়া গ্রামের যে স্কুলে পড়েছিলেন অধ্যাপক ইউনূস

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রাথমিক পাঠ নিয়েছিলেন তাঁর নিজ গ্রাম হাটহাজারীর শিকারপুর ইউনিয়নের ‘পূর্ব বাথুয়া আলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’। ৯২ বছরের পুরোনো এই বিদ্যালয়টির এলাকায় পরিচিত ছিল ‘মহাজন ফইরের স্কুল’ নামে। চাটগাঁইয়া ভাষায় ‘ফইর’ মানে পুকুর। স্কুলের প্রবীণ শিক্ষকেরা বলছেন, এলাকার একটি পুকুরের পাশে হওয়ায় লোকমুখে স্কুলটির এমন নামকরণ।

‘মহাজন ফইরের স্কুল’ বা ‘পূর্ব বাথুয়া আলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টির জন্য জমি দান করেছিলেন ‘১৯৩৭ সাবান’ কারখানার মালিক নুরালী সওদাগরের ছেলে নেয়ামত আলী। মহাজন পুকুরের পাশে টিনের ছাউনি দেওয়া একটি ভবন বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে নাম ছিল ‘পূর্ব বাথুয়া আলামিয়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুল’। পরে ১৯৭৯ সালে দুই কিলোমিটার দূরে গ্রামেরই আরেকটি জমিতে স্কুলটি সরিয়ে নেওয়া হয়। ১৯৭৩ সালে সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় একসঙ্গে সরকারি হওয়ার সময় ‘আলামিয়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুলও’ সরকারি হয়। এরপর এটির নামকরণ করা হয় ‘পূর্ব বাথুয়া আলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’।

অধ্যাপক ইউনূসের শৈশবের বিদ্যালয়

বাথুয়া গ্রাম ঘুরে, একাধিক বাড়িতে গিয়েও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কোনো সহপাঠীর সন্ধান মেলেনি। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁর সঙ্গে পড়ালেখা করেছেন যাঁরা, তাঁদের বেশির ভাগই বেঁচে নেই, নয়তো শয্যাশায়ী।

তবে তাঁর সমবয়সী মুহাম্মদ শফি নামের একজনকে পাওয়া যায়। যিনি অধ্যাপক ইউনূসের দেড় বছরের বয়সে ছোট এবং খেলার সঙ্গী ছিলেন। শফি পড়ালেখা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর করেছেন জুয়েলারি দোকান। তাঁরও প্রাথমিক পাঠ আলামিয়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে। ৮৪ বছরের প্রবীণ মুহাম্মদ শফির সঙ্গে তাঁর বাসায় বসে কথা হয়। তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৪৫ সালে গ্রামের স্কুলটিতে ভর্তি হন অধ্যাপক ইউনূস। পড়েন তৃতীয় পর্যন্ত। শফি তাঁর এক ক্লাস নিচে পড়তেন। জুনিয়র হলেও তাঁদের সম্পর্ক ছিল একদম সহপাঠীর মতো। খেলেছেন, মেলায় ঘুরেছেন, নাটকও করেছেন একসঙ্গে।

মুহাম্মদ শফি বলেন, শৈশব থেকেই লেখাপড়ায় খুব ভালো ছিলেন ইউনূস। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন। ছাত্রাবস্থায় বয়েজ স্কাউটে যোগ দিয়ে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এসব দেখে সবারই মনে হতো, ইউনূস একদিন অনেক বড় হবেন।

কিশোর বয়স থেকে অধ্যাপক ইউনূস ভালো ছবি আঁকতেন বলে জানালেন মুহাম্মদ শফি। তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও সাহিত্যের প্রতি বরাবরই আকর্ষণ ছিল। ‘বিজ্ঞান সাময়িকী’ নামে একটি পত্রিকাও বের করতেন ১৯৬১ সালের দিকে। ছোটবেলায় দুই ঈদে গ্রামে আসতেন। গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা এবং নাটক করতেন। গ্রীষ্মকালীন ছুটিতেও আসতেন। বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় বেড়াতেন সারা গ্রাম। ছাত্রাবস্থায় একবার বক্তৃতা দিতে উঠে মাইক হাতে নিয়ে তিনি হ্যালো বলেননি। বলেছিলেন, ‘মনোযোগ দিন, মনোযোগ দিন’। তার মানে বাংলাচর্চায় ছোটবেলা থেকেই তাঁর আগ্রহ ছিল।

আলামিয়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুল যে জায়গায় শুরু হয়, সেখানে দাঁড়িয়ে কথা হয় বাথুয়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি রহমত উল্লাহর সঙ্গে। তিনি কথায় কথায় জানালেন, একই স্কুলে অধ্যাপক ইউনূসের শিক্ষক ছিলেন তাঁর বাবা আবুল হোসেন মাস্টার। বাবা তাঁকে বলেছেন, অধ্যাপক ইউনূসকে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন। নোবেল বিজয়ী হয়ে যখন ২০০৭ সালে গ্রামের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি আসেন, তখন ওই অনুষ্ঠানে নোবেল বিজয়ী ছাত্রকে দেখতে এসেছিলেন তাঁর বাবা। আবুল হোসেন ২০১৩ সালে মারা যান। রহমত উল্লাহ বলেন, ‘আজ যদি বাবা বেঁচে থাকতেন, তাহলে অনেক খুশি হতেন। তাঁর ছাত্র যে আজ দেশের সরকারপ্রধান।’

বিজ্ঞান ও সাহিত্যের প্রতি বরাবরই আকর্ষণ ছিল। ‘বিজ্ঞান সাময়িকী’ নামে একটি পত্রিকাও বের করতেন ১৯৬১ সালের দিকে। ছোটবেলায় দুই ঈদে গ্রামে আসতেন। গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা এবং নাটক করতেন। গ্রীষ্মকালীন ছুটিতেও আসতেন। বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় বেড়াতেন সারা গ্রাম। ছাত্রাবস্থায় একবার বক্তৃতা দিতে উঠে মাইক হাতে নিয়ে তিনি হ্যালো বলেননি। বলেছিলেন, ‘মনোযোগ দিন, মনোযোগ দিন’। তার মানে বাংলাচর্চায় ছোটবেলা থেকেই তাঁর আগ্রহ ছিলমুহাম্মদ শফি, পূর্ব বাথুয়া আলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র

নেই কোনো স্মৃতি

পূর্ব বাথুয়া আলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানে না, তাদের বিদ্যালয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পড়তেন একসময়। পঞ্চম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে তারা অবাক হয়। একাধিক শিক্ষার্থী বিস্ময় প্রকাশ করে বলে, ‘না, এটা তো জানতাম না।’  তবে তথ্যটি জানার পর তারা সবাই উচ্ছ্বসিত হয়।

বিদ্যালয়ে নেই কৃতী শিক্ষার্থীদের কোনো তালিকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজ কার্যালয়ে বসে প্রধান শিক্ষক নাসিমা আকতার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসলে এখানে যে অধ্যাপক ইউনূস পড়তেন, সেটা অনেকেই জানেন না। আমরা শিক্ষকেরাও জানতাম না। কোনো কারণে আগে এই তথ্য প্রচার হয়নি। আগের শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ে কোনো কৃতী শিক্ষার্থীর তালিকা রাখেননি। এখন এমন একটি তালিকা করার কথা ভাবছি।’

বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক লাকি পালিত প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা খুবই গর্বের বিষয়। একজন নোবেল বিজয়ীর প্রাথমিক পাঠ নেওয়া বিদ্যালয়ে আমি শিক্ষকতা করছি, এটা ভাবতেই ভালো লাগে।’

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাথুয়া গ্রামের যে স্কুলে পড়েছিলেন অধ্যাপক ইউনূস