নিজের ও পরিচিতদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে রাকিব মিয়া (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

শুক্রবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় ওই যুবকের কাছ থেকে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটের ভিন্ন ভিন্ন তারিখের সিন্ধু গোধূলি/প্রভাতী/কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ২১টি আসনের টিকিট ও মোবাইল জব্দ করা হয়।

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রেলস্টেশন এলাকা থেকে টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্য রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসপি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে ১৮০ টাকার টিকিট ৪৫০–৫০০ টাকায় আগ্রহী যাত্রীদের কাছে বিক্রি করতেন রাকিব। কালোবাজারী চক্রের সদস্য রাকিব তার নিজের ও পরিচিত চারজনের এনআইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ৫টি রেলওয়ে সেবা অ্যাপস অ্যাকাউন্টে খুলে নিয়মিত ঢাকা-কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন রুটের আন্তনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতেন।’

এ ঘটনায় ওই কালোবাজারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান এসপি আনোয়ার হোসেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনার পরিবারের ১০ সদস্য ভোট দিতে পারবেন না: ইসি সচিব
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক