ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছায়া জাতিসংঘ সংগঠনের (ডিউমুনা) উদ্যোগে ১২তম বারের মতো চারদিন ব্যাপী ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন-২০২৫’ আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে অংশ নিতে শনিবার থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
শুক্রবার সংগঠন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য দেওয়া হয়েছে- ‘আইনের শাসন ও বৈশ্বিক দৃষ্টান্তের রদবদল: ন্যায়, সমতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ’।
সংগঠনের সভাপতি নওশিন ফাতমির নেতৃত্বে ২৯ মে থেকে আগামী ১ জুন পর্যন্ত সম্মেলনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট অডিটোরিয়ামে চলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের এবারের অধিবেশনে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৫০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নেবেন। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকেও শিক্ষার্থীরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। এর মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীরা তাদের কূটনৈতিক ও যোগাযোগ দক্ষতা এবং উপস্থিত বক্তৃতার মতো গুণের বিকাশ ঘটাতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সংগঠনের ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানের বিস্তারিত জানা যাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।
অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।
ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।
ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।
স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’
উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’
পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।