প্রথমবার আইপিএলে ম্যাচ ফি, মাঠে নামলেই সাড়ে সাত লাখ রুপি
Published: 22nd, March 2025 GMT
আইপিএল মানেই অর্থের ঝনঝনানি। এই টুর্নামেন্ট খেলতে পারলে খেলোয়াড়দের পকেটে ঢোকে বড় অঙ্কের অর্থ। এবারের আইপিএলে ক্রিকেটারদের আয়ের ক্ষেত্র আরও বাড়ছে। প্রথমবারের মতো আইপিএলে ম্যাচ ফি-ও পেতে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। ২০ ওভারের ম্যাচ হিসেবে অঙ্কটা বেশ বড়।
আইপিএলে প্রতিটি ম্যাচের জন্য ফি হিসেবে ক্রিকেটাররা পাবেন সাড়ে সাত লাখ রুপি করে। একজন ক্রিকেটার আইপিএলে কমপক্ষে ১৪টি (লিগ পর্বে ১৪ ম্যাচ) করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেতে পারেন।
প্লে-অফ হয়ে ফাইনালে গেলে ১৭টি। মানে এবার আইপিএলে লিগ পর্বের ১৪ ম্যাচে সুযোগ পাওয়া কোনো ক্রিকেটারের পকেটে ঢুকবে ১ কোটি ৫ লাখ রুপি। ফাইনাল পর্যন্ত সব ম্যাচ খেললে ১ কোটি ২৭ লাখ রুপি। এই টাকা ক্রিকেটাররা পাবেন তাঁদের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজির চুক্তি মূল্যের বাইরে।
প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ম্যাচ ফির জন্য বরাদ্দ রেখেছে মোট ১২ কোটি ৬০ লাখ রুপি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর এই অর্থ নিলামের বাজেটের বাইরের। অতিরিক্ত প্রণোদনা হিসেবে প্রতি ম্যাচে ম্যাচ ফি পাবেন মাঠে নামা ১২ জন ক্রিকেটার (ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়সহ)।
আজ শুরু আইপিএল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন