বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে হামজা চৌধুরীর আগমনে। ইংল্যান্ডের যুব দলে খেলা এই মিডফিল্ডার সিনিয়র পর্যায়ে খেলতে বেছে নিয়েছেন লাল-সবুজের জার্সি। আগামী মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে তার অভিষেকের মাধ্যমে দেশের ফুটবলে এক নতুন অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। বিদেশে খেলা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার এই উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে। এবার একই পথে হাঁটার পরিকল্পনা করছে ভারতও।

সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) সভাপতি কল্যাণ চৌবে জানিয়েছেন, তারা ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নীতিমালা তৈরি করছে। তার মতে, এই উদ্যোগ ভারতীয় ফুটবলে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

দিল্লিতে এক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে চৌবে বলেন, ‘আমরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওসিআই (ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া) খেলোয়াড়দের প্রতিভা কাজে লাগাতে চাই। অনেক দেশ ইতোমধ্যে এই পদ্ধতি অনুসরণ করছে। আমরা এখন নীতিমালা তৈরির প্রক্রিয়ায় আছি। নতুন গাইডলাইন না আসা পর্যন্ত বর্তমান নিয়ম মেনেই দল নির্বাচন চলবে। তবে এই উদ্যোগ বিশেষ করে নাম্বার ৯ ও ১০ পজিশনের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কাজে দেবে।’

বর্তমানে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের হয়ে খেলতে হলে খেলোয়াড়ের সেই দেশের স্থায়ী আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট থাকতে হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে, ফলে তাদের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহজে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। তবে ভারত দ্বৈত নাগরিকত্ব স্বীকার না করায় ওসিআই খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে খেলতে হলে ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে হবে।

এর আগেও এমন একটি উদাহরণ রয়েছে। ২০১৩ সালে জাপানি বংশোদ্ভূত ইজুমি আরাতা জাপানের নাগরিকত্ব ছেড়ে ভারতের হয়ে খেলেছিলেন। এবার নতুন নীতিমালা হলে আরও অনেক প্রতিভাবান ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি খেলোয়াড় জাতীয় দলে সুযোগ পেতে পারেন—এমনটাই প্রত্যাশা করছে ভারতীয় ফুটবল কর্তৃপক্ষ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জ ত য় দল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতাকে মারধর, খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা। 

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ  আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ